শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রতিনিয়তই জল্পনার মুখে রাজ্য। ওএমআর শিটে ‘শূন্য’ ‘দুই’ ‘তিন’ ‘পাঁচ’ পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর বৃদ্ধি পায় বেআইনিভাবে। অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে পাশ করানোর অভিযোগ আসে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ইতিমধ্যেই আদালতে বিচারাধীন। এদিন আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওএমআর শিটে নম্বর বিকৃতি নিয়ে মন্তব্য করেন, “কোন জাদুকরের ছোঁয়ায় নম্বর বৃদ্ধি? পি সি সরকার জুনিয়র না সিনিয়র? এটাই জানতে চায় আদালত।”
নিয়োগ দুর্নীতির জল যে কতদূর গড়িয়েছে তা ক্রমশই প্রকাশ পাচ্ছে। তদন্তে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর আগেই ওএমআর শিটে নম্বর বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিতর্ক ওঠে। সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসির সার্ভার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় বহু অযোগ্য প্রার্থীকে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে। যথারীতি নিয়োগও পেয়েছেন তাঁরা। বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল, ইংরেজি, জীবন বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, বিষয়গুলিতে ‘ভুয়ো’ নিয়োগ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওএমআর শিট মামলায় প্রকাশ পেয়েছে চল্লিশ জন শিক্ষকের নাম। যার মধ্যে অবস্থান জানাতে আসেন ১৩ জন শিক্ষক। এই তেরো জন শিক্ষককে তাঁদের ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়ে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Primary TET 2022 পরীক্ষায় কত পাবেন?
এদিন আদালতে একটি মামলা চলাকালীন সময়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যে উঠে আসে ওএমআর শিটে নম্বর বিকৃতির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, কোন জাদুকরের ছোঁয়ায় নম্বর বৃদ্ধি পেল ওএমআর শিটে? এ বিষয়ে জানতে চায় আদালত। প্রসঙ্গত, এর আগে সিবিআই তদন্ত হলেও সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ইডি কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।