২০১৬ সালে প্রাইমারি টেটের ইন্টারভিউতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কিনা তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য ছিল অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই কারচুপির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল প্রার্থীদের। এরপর ঘটনা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সে বছরের টেটের ইন্টারভিউতে থাকা ৩০ জন পরীক্ষকদের তলব করে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার তাঁরা উপস্থিত হলে রুদ্ধদ্বারে তাঁদের জেরা করেন স্বয়ং বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কয়েক জেলার ৩০ জন ইন্টারভিউয়ার। যদিও হাওড়ার পরীক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন না। সূত্রের খবর, এদিন তলব করা পরীক্ষকদের প্রথমে বসানো হয় হাইকোর্টের সার্ধ-শতবার্ষিকী ভবনের নয় তলার অডিটোরিয়ামে। এরপর সেখান থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় রেজিস্টার লাউঞ্জে। মঙ্গলবার সকাল ১১:৪৫ থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। অত্যন্ত গোপনীয়তায় বন্ধ ঘরে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। বিচারপতির নির্দেশে তালিকা মিলিয়ে পরপর এক এক জন করে ডাকা হয়। জানা যাচ্ছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬ সালের টেট ইন্টারভিউ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওই পরীক্ষকদের।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মী নিয়োগ
এদিনকার ঘটনাকে কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে আইনজীবীদের বক্তব্য, আইনি ও সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই কাজ করেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট ইন্টারভিউ বিষয়ক হলফনামা পেশ করলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, সে বছর টেট ইন্টারভিউতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়ই নি! এরপরই পরীক্ষকদের নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি। মনে করা হচ্ছে, এদিনের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর আগামী দিনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ হতে চলেছে।