এসএসসি গ্রুপ ডি পদের নিয়োগে মিলেছে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ। এদিন গ্রুপ ডি এর নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বক্তব্য, যাঁরা বিতর্কিত নিয়োগ পেয়েছেন, সিবিআই তাঁদের ধরে সোজা জিগ্যেস করুক কাকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন! সাথে এদিন বিচারপতির নির্দেশ, গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪ হাজার ৪৮৭ জন গ্রুপ ডি কর্মী ও ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে।
এর আগে এসএসসি গ্রুপ ডি পদের নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ সামনে আসে। জানা যায়, গ্রুপ ডি পদে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। সংশ্লিষ্ট অভিযোগে মামলা দায়ের হয় আদালতে। ঘটনার তদন্তে থাকা সিবিআই আধিকারিকরা আদালতে জানায়, গ্রুপ ডি এর নির্ধারিত শূন্যপদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি পদের নিয়োগে জালিয়াতি হয়েছে।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে জুট বোর্ডে কর্মী নিয়োগ
আর প্রায় সব ক্ষেত্রেই ওএমআর শিট (উত্তরপত্রের) বিকৃতি ঘটেছে। এর আগে গ্রুপ ডি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থীদের উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও সেই ওএমআর শিট এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এদিন গ্রুপ ডি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু স্কুল সার্ভিস কমিশনের উদ্দেশ্যে সরাসরি প্রশ্ন করেন, যদি বেআইনিভাবে নিযুক্ত প্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তবে সেই শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি।
চাকরির খবরঃ চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে কর্মী নিয়োগ
একইসাথে এদিন বিচারপতির প্রশ্ন, বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের সরাতে নিজে থেকে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না এসএসসি! বিচারপতির বক্তব্য, পড়ুয়াদের কথা না ভেবে কারা টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছে তাঁদের পরিচয় জানার সময় এসেছে। আর ভুল শোধরানোর জন্য এসএসসিকে সময় দেওয়া হয়েছে আগামী সাত দিন। প্রসঙ্গত, সিবিআই তদন্তে উদ্ধার হওয়া গ্রুপ ডি প্রার্থীদের ওএমআর শিটগুলি আগামী ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি।