প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলছে আদালতে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এর আগেও বিচারপতির গলায় শোনা গিয়েছিল হুঁশিয়ারির সুর। এদিন ফের বিচারপতির বক্তব্য পাওয়া গেল তারই প্রতিফলন। এদিন আদালতে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন। অর্থাৎ হতে পারে প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকেদের প্যানেল বাতিল!
সম্প্রতি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরির আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রায় ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, নম্বর বিভাজনের প্রকাশিত তালিকায় থাকা বহু অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়েছেন। এদিন বিচারপতি সমস্ত বিষয়টির পর্যালোচনা করেন। ও একইসাথে এই বিষয়ে মামলাকারীদের বেশ কিছু নথি প্রকাশের নির্দেশও দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ ই ডিসেম্বর।
Primary TET Practice Set: Download Now
এদিন বিচারপতির গলায় শোনা গেল হুঁশিয়ারির সুর। ২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিলের কথা বলেন তিনি। এছাড়া তিনি বলেন, “ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব”। এক্ষেত্রে বিচারপতির কথায় ‘ঢাকি’ শব্দের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েই যায়। পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এও বলেন, “যেদিন ২০১৬ র পুরো প্যানেল বাতিল করবো সেদিন ঢাকি সমেত বিসর্জনের মানে বলবো”। স্পষ্ট হুঁশিয়ারিতে জানিয়ে দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশ পাওয়ার পর ২০১৭ সালে সামনে আসে নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা। যেখানে নাম থাকা ২৬৯ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষা না দেওয়া ও ফেল করা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে কেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে কোনোও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়নি সে বিষয়ে স্পষ্ট জবাব চান বিচারপতি। এখানেও দুর্নীতির আঁচ করেন তিনি। এর উত্তরে কোনোও সুনির্দিষ্ট উত্তর আসেনি পর্ষদের তরফে। এরপরেই সংশ্লিষ্ট ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল সহ বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।