দুর্নীতি করে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, এমন দুর্নীতিবাজ শিক্ষকরা যেন কোনোভাবেই নিশ্চিন্তে না থাকে। ধরা পড়লেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হবে। এমন কড়া মন্তব্য করেন, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে জণগনের বিচারপতি হিসেবে পরিচিত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রথমবারের জন্য দেশের কোনো সংবাদ চ্যানেলে ইন্টারভিউ দেন সাধারণ মানুষের “মসিহা” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় তাঁর একের পর এক রায়ে স্তম্ভিত সকলেই। গত ১০ মাসে ১০টিরও বেশি নিয়োগ এবং বদলি সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার তিনি নিমেষেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন। তার বিচারের রায়ে বহুক্ষেত্রে ভুক্তভোগী রাজ্য প্রশাসন তথা রাজ্যের শাসকদল।
এদিন এবিপি আনন্দ চ্যানেলের তরফ থেকে জাস্টিস গাঙ্গুলির সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। বিধাননগরে তার নিজের ফ্ল্যাটে কথাবার্তা হয়। সেখানে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে তিনি একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। এককথায় বলতে গেলে মন্তব্যের বোমা ফাটান তিনি। তিনি বলেন, আমি নিজে বহুদিন বেকার ছিলাম। বেকারদের কষ্ট, যন্ত্রনা জানি। যখন দেখলাম একই জিনিসে দুরকম ভার্সন। তখন স্থির থাকতে পারিনি। বুঝতে পারলাম কোথাও দুর্নীতি হয়েছে। সেজন্যই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বর্তমানে কি কি চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে
জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিন দফায় ১৮৭ জন চাকরীপ্রার্থী দুর্গাপূজার আগে শিক্ষকের চাকরি পেতে চলেছেন। এদিন তিনি বলেন, রাস্তায় বসে থেকে শিক্ষিত ছেলেমেয়ে গুলো আন্দোলন করছে। এ আমি দেখতে পারিনি। তাই আরোও আবেগতাড়িত হয়ে উঠি। এ মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ে যাবো সারাজীবন। ভারতবর্ষের আজও এই অবস্থার জন্য একমাত্র দুর্নীতিই দায়ী বলে এদিন তিনি জানান।