Kotak Kanya Scholarship: উচ্চমাধ্যমিক পাশে ছাত্রছাত্রীরা পাবেন ১.৫ লক্ষ টাকা
ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিপুল টাকার স্কলারশিপের ব্যবস্থা করল কোটাক ব্যাঙ্ক। উচ্চ শিক্ষায় পাবেন বিরাট সাহায্য। কিভাবে করবেন আবেদন বিস্তারিত জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
![Kotak Kanya Scholarship](https://exambangla.com/wp-content/uploads/2023/12/kotak-kanya-780x470.jpg)
অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রীরাই চান উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় সেই ইচ্ছে ত্যাগ করতে হয় তাঁদের। তাই দেশে সরকারি ও বেসরকারি তরফে বেশ কিছু বৃত্তি চালু রয়েছে। এই স্কলারশিপ স্কিম গুলিতে আবেদন করলে প্রতিমাসে নয়তো বাৎসরিক একটি আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি বেসরকারি স্কলারশিপ ‘কোটাক কন্যা স্কলারশিপ’-এর বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
Kotak Kanya Scholarship
দেশে বেসরকারি সংস্থার দ্বারা পরিচালিত একটি স্কলারশিপ হল কোটাক কন্যা স্কলারশিপ। কোটাক মাহিন্দ্রা গ্রুপ ও কোটাক এডুকেশনের যৌথ উদ্যোগে এই স্কলারশিপ রয়েছে। এই স্কলারশিপে আবেদন জানাতে পারেন মেয়েরা। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেধাবী কন্যাদের স্বপ্ন সফল করার স্বার্থে এই স্কলারশিপটি চালু করা হয়েছে। এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।
চাকরির খবরঃ ইন্ডিয়ান ওয়েলে প্রশিক্ষণের দারুণ সুযোগ
✅ আবেদন যোগ্যতা:
➲ কোটাক কন্যা স্কলারশিপে আবেদন জানাতে হলে আবেদনকারী পড়ুয়াকে পরিবারের কন্যা সন্তান হতে হবে।
➲ আবেদনকারী পড়ুয়ার পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে ৬ লক্ষ টাকা।
➲ আবেদনকারী পড়ুয়াকে ৮৫ শতাংশ নম্বর-সহ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে থাকতে হবে।
➲ ৮৫ শতাংশ নম্বর সহ HS পাশ পড়ুয়াকে যে কোনো প্রফেশনাল কোর্স (যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং, এলএলবি, এমবিবিএস ইত্যাদিতে) ভর্তি হতে হবে।
স্কলারশিপের টাকা- কোটাক কন্যা স্কলারশিপে আবেদনকারী ছাত্রীকে প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ টাকার স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। কোর্স সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে।
আবেদন পদ্ধতি- এই স্কলারশিপে আবেদন জানাতে হলে প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এরপর সেখানেই আবেদনপত্র পূরণ করে ডকুমেন্ট আপলোড করে অ্যাপ্লিকেশনটি জমা করতে হবে।
✅ স্কলারশিপের টাকা দেওয়া হয় কিভাবে?
এই স্কলারশিপে আবেদনকারী ছাত্রীদের মেরিট ও আর্থিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে একটি মেরিট লিস্ট তৈরি করা হয়। এরপর এই মেরিট লিস্ট অনুযায়ী ছাত্রীদের দুই রাউন্ডের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তারপর একটি ফাইনাল লিস্ট তৈরি করা হয়। এই লিস্ট ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হয়। যে সমস্ত আবেদনকারী ছাত্রীরা যোগ্য বলে বিবেচিত হন, তাঁদের কাছে স্কলারশিপের টাকা পৌছে দেওয়া হয় সংস্থার তরফে।