এক নজরে
‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’- এই কথা তো আমরা প্রায় সবাই সেই ছোটবেলা থেকে মা বাবার মুখ থেকে আবার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে শুনেছি। তবে এই পড়াশোনা বিষয়টি কিন্তু কারোরই খুব একটা করতে পছন্দ হয়না। শিশুদের তো বেশিরভাগই একটার পর একটা বাহানা চলতেই থেকে এই পড়তে বসা নিয়ে। কখনও বলে, পড়তে ইচ্ছে করছে না! কখনও আবার, আমি পড়তে বসলেই ঘুম পায়! পড়াশোনা করতে গিয়ে এরকম সব বাহানা চলতেই থাকে বাচ্চাদের। কিন্তু অগত্যা মা বাবা তো আর শুনবে না। শেষ পর্যন্ত পড়তে বসতেই হয়।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কিছু সহজ পন্থা
তবে পড়াশোনায় বাচ্চাদের মন বসানোর এমন কয়েকটি উপায় আছে যা আপনার বাচ্চার ওপর ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। আর আপনাকে উদ্বিগ্ন হতে হবেনা। এবার জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলি-
লক্ষ্য স্থির করা
জীবনের যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই আমাদের প্রধান চিন্তা হওয়া উচিত আমরা ঠিক কোন উদ্যেশ্যে এগোচ্ছি। নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থল অজানা থাকলে চলার রাস্তায় যেমন আমরা সবাই ধাঁধার মধ্যে পড়ে যাবো তেমনই ছোট শিশু থেকেই আপনার বাচ্চাটিকে এই শিক্ষা আগে দেওয়া প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট গোল অর্থাৎ লক্ষ্য স্থির করা। আর সেই লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে সেভাবেই নিজেকে চালনা করা। লক্ষ্যভ্রষ্ট ব্যক্তি কখনোই পড়াশোনায় মন বসাতে পারেনা।
টেবিলে বসার অভ্যেস গড়ে তোলা
এক ঘটনা থেকে জানা যায়, একজন নোবেলজয়ী ব্যক্তি একদা নোবেল লেখার জন্য দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা টেবিলে বসার অভ্যেস করেছিলেন। তিনি এতে সফলও হয়েছিলেন একসময় তাই ছোট থেকে পড়াশোনা করার অভ্যেস টেবিলে বসে করতে হবে। শোয়ার বিছানায় ঠেস দিয়ে আরাম করে পড়তে বসার বদভ্যাস একেবারেই ত্যাগ করা উচিত। টেবিলে বসার আগে নিজের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস নিয়ে বসতে হবে যাতে করে পড়ার মাঝে বারংবার উঠতে না হয়।
রুটিন করে পড়ার অভ্যেস
এই পৃথিবীর সমস্ত জিনিস প্রকৃতি পর্যন্ত নির্দিষ্ট একটি ছন্দে অর্থাৎ রুটিংয়ে চলে। নির্দিষ্ট সময় সূর্য ওঠে , আবার অস্ত যায় যার ফলে সমতা বজায় থাকে। সেই কারণেই পড়াশোনার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চললে সেক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া যায়। তবে রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের পছন্দমত ঠিক করতে হবে মাঝে মাঝে খানিকটা বিরতিও রাখতে হবে।
টার্গেট বা কোনো মিশন নিয়ে পড়া
মোবাইলে গেম আমরা কমবেশি সবাই খেলেছি। সেখানে প্রত্যেকবারই দেখতে পাই প্রতিটি গেমে কোনো মিশন বা টার্গেট থাকে, লেভেল একটার পর একটা পেরোতে থাকে তেমনই পড়াশোনার ক্ষেত্রে একঘেয়েমি ভাবে না পড়াশোনা করে একটি করে মিশন ফিক্সড করা জরুরি।
যখন মনোযোগ বসে তখন পড়া
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের পছন্দ ভিন্ন ভিন্নরূপ। তাই সবাই একটি নির্দিষ্ট সময়ে পড়ছে বলে আপনাকেও পড়তে হবে এমনটা নয় আপনি আপনার মতো করে সময়টা নির্ধারিত করবেন কোন সময়ে গভীর রাতে নাকি ভোরের শান্ত পরিবেশে আপনার পড়তে ভালো লাগছে।
ব্যায়াম বা খেলাধূলা করা
শারীরিক ভাবে সুস্থ সবল থাকাও পড়াশোনাতে আগ্রহ বাড়ায় আর তার জন্য একমাত্র ওষুধ হলো খেলাধূলা বা ব্যায়াম করা। বিকেলের সময়টাতে তাই পড়াশোনার পরিবর্তে খেলাধুলা করাই শ্রেয়।
পর্যাপ্ত ঘুম
একজন মানুষের দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। আর সেই ঘুম যদি না হয় তবে সারাদিনের সমস্ত কাজেই বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই স্মার্টফোনে ফেসবুক বা ইউটিউবে ডুবে না থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শরীরে পর্যাপ্ত ঘুমের ভীষণ প্রয়োজন। আর তা নাহলে সারাদিন পড়াশোনা করতে গেলেই বিরক্তি ভাব গ্রাস করবে ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটবে।