শিয়রে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এরমধ্যেই ফের নতুন জটিলতার মুখে মাধ্যমিক। জটিলতা বাড়ছে অ্যাডমিট কার্ড প্রসঙ্গে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন নির্দেশিকায় চিন্তা বাড়লো পরীক্ষার্থীদের। পর্ষদের এই নির্দেশ যদি না মানা হয়,তবে ভোগান্তির শিকার হতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। অথচ গোটা ঘটনা ঘটছে ছাত্র-ছাত্রীদের অগোচরে। মাধ্যমিক শুরুর আগেই পর্ষদ ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব চরমে। এই সমস্যার সমাধান কিভাবে, চিন্তায় অভিভাবক রাও। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি।
সূত্রের খবর, মাধ্যমিক ২০২৪ নিয়ে প্রথম থেকেই কড়াকড়ি শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই কড়াকড়ির ফলস্বরূপ একটি নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে পর্ষদের তরফে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকা ও টিচার ইনচার্জদের মুচলেকা দিতে হবে। স্কুলের তরফে মুচলেকা জমা পড়লে তবেই দেওয়া হবে অ্যাডমিট কার্ড। এদিকে, পর্ষদের এই নির্দেশ মানতে নারাজ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, পর্ষদের ক্যাম্প অফিস থেকে অ্যাডমিট নিতে গিয়ে কোন মুচলেকা তারা জমা করবেন না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট সংগ্রহের সময় মুচলেকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো বৈঠকে বসছেন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেড মাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস সংগঠন। এই দ্বন্দ্বের মীমাংসা কবে হবে, কবে অ্যাডমিট হাতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা, তা নিয়ে চলছে তীব্র টানাপোড়েন।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড কবে পাবে পরীক্ষার্থীরা?
প্রধান শিক্ষকদের মতে, এর আগে পর্ষদের তরফে কোনো অপমানজনক নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি কিন্তু এবছর এহেন নির্দেশ কেন? সেই মর্মে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, পর্ষদের নির্দেশিকা বাতিলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন শিক্ষক সংগঠন। যদিও পর্ষদ এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন এহেন বিজ্ঞপ্তি জারি করলো পর্ষদ? সূত্রের খবর, মাধ্যমিকে বসার জন্য নবম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। মাধ্যমিক রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমাও থাকে। কিন্তু প্রতিবছর দেখা যাচ্ছে, সময়সীমা পার করলেও বহু পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়না। আর তাই অ্যাডমিট নেওয়ার সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি মুচলেকা জমার নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। এখন জটিলতা কবে কাটে, শেষমেশ কি সিদ্ধান্ত হয় তা জানার জন্য কাটছে অপেক্ষার প্রহর।