মাস ফুরোলেই মাধ্যমিক। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৪। জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। চলছে জোরকদমে পড়াশোনা। এর মধ্যে নতুন একটি আপডেট দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবারের মাধ্যমিকে মোট ২০০ টি পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করল পর্ষদ। কম পরীক্ষা কেন্দ্রেই আয়োজিত হবে চলতি বছরের মাধ্যমিক। পরিকাঠামোরগত দিক গুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে পর্ষদ। যদিও নয়া এই আপডেট পাওয়ার পর চিন্তায় পড়েছে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।
পর্ষদ সূত্রে খবর, চলতি বছরের মাধ্যমিকে বসতে চলেছেন প্রায় ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী। আগের বছরের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলেই খবর। ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সাত লক্ষের কাছাকাছি। চলতি বছর আরও তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় পর্ষদ। অন্য দিকে, গত বছরের তুলনায় এবছর ভেন্যুর সংখ্যা কমেছে। গত বছর প্রধান ভেন্যু ও সাব ভেন্যু মিলিয়ে মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২,৮৬৭ টি। এবছর ২০০ টি কেন্দ্র কমে সর্বমোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা হয়েছে ২,৬৭৫ টি। সূত্রের খবর, এবছর ২৪০ টি প্রধান ভেন্যু কমিয়ে ৪৮ টি সাব ভেন্যুর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অতএব চলতি বছরের পরিসংখ্যান বলছে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ও ভেন্যুর সংখ্যা কমেছে। তাই পরীক্ষা পরিচালনা কিভাবে হবে তা নিয়ে বিশেষভাবে ভাবছেন পর্ষদ অধিকর্তারা।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইতে এবার QR Code
কিন্তু ঠিক কোন কারণে বাতিল করা হলো ভেন্যুগুলি? পরীক্ষা সংগঠকরা জানিয়েছেন, বাতিল হওয়া ভেন্যুগুলিতে ছিল উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব। অধিকাংশ স্কুলেই নেই সিসিটিভির জন্য পরিকাঠামো। বেশ কিছু স্কুলে পাঁচিল বা বাউন্ডারি দেওয়াল নেই। অনেক স্কুলেই প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রবেশ করার জন্য প্রশস্ত পথ নেই। এছাড়া, ভালনারেবেল স্কুলগুলিকে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। তিনটি আবশ্যিক শর্ত যে সমস্ত স্কুলগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ ছিল, তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এবছর কোনো স্কুলকেই একক কেন্দ্র হিসেবে রাখা হয়নি। কোনো না কোনো প্রধান কেন্দ্রের অধীনে রাখা হয়েছে স্কুলগুলিকে। যদিও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় রয়েছে। অতএব বোঝাই যাচ্ছে নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে ও আঁটোসাঁটো নজরদারি বজায় রাখতে পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনায় যাতে কোনোরকম ফাঁকফোকর না থাকে সে বিষয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক হচ্ছেন পর্ষদ অধিকর্তারা।