চলছে এই রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা। গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। পরীক্ষার শেষে ওই পরীক্ষায় সম্পূর্ণ প্রশ্নপত্রের মধ্যে দুটি প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে থেকে এই দুটি প্রশ্ন অতিরিক্ত পরিমাণে কঠিন হওয়ার অভিযোগ জানানো হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের এই অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২০২৫ সালের মাধ্যমিকের গণিত পরীক্ষায় যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ওই দুটি প্রশ্নের উত্তর করার প্রচেষ্টা করেছেন, তাদের জন্য নম্বর পাওয়ার বিশেষ ঘোষণা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের এই ঘোষণাটি বিস্তারিত ভাবে জানুন আজকের প্রতিবেদন থেকে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৫
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে উত্তেজনা রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। একের পর এক দিনে পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে আসছেন। মোট সাতটি বিষয়ের মধ্যে কোনো কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোজা হয়েছে, আবার কোনো কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হয়েছে যথেষ্ট কঠিন। তবে গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারি অংক পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অংকের দুটি প্রশ্ন অতিরিক্ত পরিমাণে কঠিন হওয়ার অভিযোগ জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুসারে, উত্তরবঙ্গ রিজিয়নের প্রশ্নপত্রের ৩ (iii), বর্ধমান রিজিয়নের প্রশ্নপত্রের ৩ (iv), মেদিনীপুর রিজিয়নের প্রশ্নপত্রের ৩ (i) এবং কলকাতার প্রশ্নপত্রের ১৫ (ii) নম্বরের প্রশ্নগুলি নিয়েই মূলত জল্পনা চলছিল। সোমবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ ভালোভাবে জেনে বুঝে নিয়ে, অংকের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পর্ষদের পক্ষ থেকে পরীক্ষকদের উল্লেখিত প্রশ্নগুলিতে নম্বর দেওয়ার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক গণিত প্রশ্নপত্র পিডিএফ
উল্লেখিত প্রশ্নগুলি যথার্থভাবেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে কঠিন। তাই যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ওই প্রশ্নগুলির সঠিক পদ্ধতি মেনে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের সকলকেই প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত সম্পূর্ণ নম্বর দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয় পরীক্ষকদের। যদিও ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষার সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন এসেছে বলে দাবি করা হলেও, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই অভিযোগকে একেবারেই আমল দেয় নি।