মাদ্রাসা গ্রুপ ডির নিয়োগ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। একে তো নিয়োগ পরীক্ষা হয়না। আর পরীক্ষা হলেও তার ফলপ্রকাশ হয়না। তাছাড়া নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় জটিলতা আরও বাড়ে। অনেকদিন ধরেই ফলপ্রকাশের দাবি তুলছিলেন পরীক্ষার্থীরা। গ্রুপ ডি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ বারো বছর। তার মাঝে কোনওরূপ ফল প্রকাশের সম্ভাবনা দ্যাখেন নি তাঁরা। ফলস্বরূপ আদালতে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। সেই মামলায় এবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ- ডি নিয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল ২০১০ সাল নাগাদ। সুইপার, ক্লার্ক-সহ একগুচ্ছ শূণ্যপদে নিয়োগের ঘোষণা হয়। সে বছরের নভেম্বর মাসে আয়োজিত হয়েছিল প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি। ২০১১ সালের মার্চে হয় তার লিখিত তার পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় বসেন প্রায় পাঁচ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী। এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ বারো বছর। ফলপ্রকাশ-এর বিষয় একবারও টনক নড়েনি কমিশনের। এদিকে রেজাল্ট জানার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী। বারংবার অভিযোগ তোলা হলেও গা করেনি প্রশাসন। তাঁদের দাবি ছিল, বিপুল পরিমাণ পরীক্ষার্থীর চাপে সময়ে ফলপ্রকাশ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির প্রভাব। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই থমকে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুনঃ ডিসেম্বরেই নতুন টেট পরীক্ষা
তবে এবার আদালতে রায়ে কিছুটা আশার আলো দেখলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এতদিনের থমকে থাকা নিয়োগ অবশেষে হতে পারে ভেবে স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা। বারো বছরেও কেন ফলপ্রকাশ করা গেল না তা শুনে বিস্মিত হন। তাঁর নির্দেশ এমনিতেই অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে, তাই অবিলম্বে তার ফলপ্রকাশ করতে হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষার ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।