কথায় আছে স্বপ্ন সফল করতে হলে ব্যর্থতার কাছে মাথা নত করতে নেই। ব্যর্থতা জীবনে আসবেই। তবে হাল না ছেড়ে বারংবার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর তাতেই একদিন ঠিক ধরা দেবে সফলতা। এই ধারণা যে কেবলই কাল্পনিক নয় তা ফের একবার হাতেনাতে প্রমাণ করে দিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা বানোয়ারলাল মুন্ড। অভাবের তাড়নায় একদিন দিনমজুরের কাজও করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরিশ্রম ও মেধার প্রমাণে আজ একজন সরকারি চাকুরিজীবী তিনি। প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় বসে নিজ যোগ্যতায় স্বপ্নের দুয়ারে পৌছে গিয়েছেন তিনি।
বানোয়ারলালের গল্প ঠিক যেন এক রূপকথা। রাজস্থানের বাড়মেরের সানাওড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বরাবরই ইচ্ছে ছিল সরকারি চাকরি করবেন। কিন্তু সরকারি চাকরি পাওয়া তো আর মুখের কথা নয়। তার জন্য পোহাতে হয় অনেক কাঠখড়। ১৯৯৯ সালে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করেন বানোয়ারলাল। কিন্তু অর্থিক অনটন সে সময় তাঁর চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পেট চালাতে বাধ্য হয়ে দিনমজুরের কাজে যুক্ত হন তিনি। কিন্তু তার মাঝেও নিজের পড়াশোনার চর্চা বজায় রেখেছিলেন বানোয়ারলাল। মাঝের দশ বছর পড়াশোনা থেকে দূরে থাকার পর ২০১০ সাল নাগাদ বিএড সম্পূর্ণ করেন তিনি। সে সময়েও দিন মজুরের কাজ করতেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ কোচিং ছাড়া নিজে পড়েই UPSC সফল
এদিকে, তাঁর মনে স্বপ্ন ছিল সরকারি চাকরির। সেই স্বপ্ন সফলের জেদ নিয়ে বেশ কিছুবার চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন বানোয়ারলাল। কিন্তু প্রতিবারই কিছু নম্বরের জন্য আটকে গিয়েছেন। পরপর ১৬ বার ব্যর্থ হন তিনি। কিন্তু কোনোভাবেই হার মানতে রাজি ছিলেন না। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্বপ্নপূরণ হল তাঁর। ৪১ বছর বয়সে সরকারি চাকরি পেয়ে নিয়োগ পেলেন রাজস্থানের প্রার্থী বানোয়ারলাল মুন্ড। পরিশ্রম ও একাগ্রতা থাকলে যে সমস্ত বাধা পেরিয়ে স্বপ্নপূরণ সম্ভব, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।
 
				            
 
         
			

 
                                 
                              
		 
		 
		 
		 
		 
		 
		 
		 
		 
		