দুর্নীতির রেশ এসে পৌছেছে রাজ্যের ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের আমলে ডি.এল.এড কোর্সে অনলাইনে ভর্তির প্রথা ভেঙে ঘুরপথে অফলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন এই সকল পড়ুয়াদের ভর্তি বৈধ না অবৈধ তা আদালতের বিচারাধীন বিষয়।
সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যের সময়ে ডি.এল.এড কোর্সে টাকার বিনিময়ে আসন বিক্রির অভিযোগ ওঠে। সেক্ষেত্রে বেসরকারি ডি.এল.এড কলেজে ভর্তির জন্য অন্তত পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হয় পড়ুয়াদের কাছ থেকে। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি ফাঁস হতে এখন জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য। এদিকে ঘোরতর সমস্যার মুখে ২০২১-২৩ ব্যাচের ডি.এল.এড পড়ুয়ারা। সামনের মার্চ মাসে তাঁদের পরীক্ষা। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন নিতে চাইছে না। এতদিন ধরে পঠনপাঠনের পর পড়ুয়ারা জানতে পেরেছেন তাঁদের ভর্তিটা অবৈধ হতে পারে। এদিকে পরীক্ষায় বসতে না পারলে মিলবে না চাকরি। বৃথা যাবে সকল পরিশ্রম। এহেন পরিস্থিতিতে কার্যত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে রাজ্যের প্রায় ৪২ হাজার ডি.এল.এড পড়ুয়া।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ
এই সকল পড়ুয়ার ভর্তি বৈধ না অবৈধ তা এখন বিচারাধীন বিষয়। এ প্রসঙ্গে মামলা চলছে আদালতে। বর্তমান পর্ষদ সভাপতি জানান, গত ২৮ শে ডিসেম্বর সকল পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে তা নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তাই মামলার রায় না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই করার উপায় নেই। তবে অনলাইনে ভর্তি হওয়া প্রার্থীদের নিয়ে সংশয় নেই। যথাসময়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন তাঁরা। অনলাইন মাধ্যমে ভর্তি হওয়া প্রার্থী সংখ্যা ১১ হাজারের কাছাকাছি। আর বাকি রইলো এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থী। অদূর ভবিষ্যতে তাদের কি হবে? এখন সেদিকেই তাকিয়ে পড়ুয়ারা।