নবম-দশমের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মিলেছে একের পর এক দুর্নীতির হদিশ। সম্প্রতি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ১৯৩ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি চাকরির বয়সসীমা লঙ্ঘন করে নিয়োগ করা হয়েছে শিক্ষক পদে। মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ অনুসারে প্রায় ২১জন প্রার্থীর হদিশ মিলেছে। যাঁরা বয়স পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসেন ও পরবর্তীতে নিয়োগ পান।
নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কখনও ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়ে অতিরিক্ত নম্বর পাওয়া তো কখনও কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। খোঁজ নিতে দেখা গেছে এভাবে বেআইনিভাবে নিযুক্ত প্রার্থীরা চাকরি করছেন বিভিন্ন স্কুলে। এসবের মাঝেই ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সামনে এলো নয়া অভিযোগ। হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়া ১৯৩ জন চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ অনুসারে জানা যাচ্ছে, বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও বেশ কিছু প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক পদে। সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সামনে এসেছে ২১ জন প্রার্থীর নাম। ঘটনাটির পর্যালোচনা করে হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত বসু নির্দেশ দেন, এই ২১ জন প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। একইসাথে এই বয়স পেরিয়ে যাওয়া প্রার্থীরা কিভাবে পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেলেন ও তাঁদের নিয়োগই বা করা হলো কিভাবে, সে বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করবে এসএসসি।
আরও পড়ুনঃ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ‘ভুল’ শোধরানোর পরামর্শ দিল হাইকোর্ট
প্রসঙ্গত, যে কোনোও পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা ধার্য করা হয় সরকারিভাবে। তার চেয়ে বেশি বয়সের প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি মেলে না। কিন্তু ২০১৬ সালের নবম-দশমের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়া প্রার্থীদের কিভাবে চাকরিতে নিয়োগ করা হলো তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিভিন্ন মহল। সূত্রের খবর, এই ২১ জন প্রার্থীকে শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৬ই জানুয়ারি।