ঠিক এক মাস আগে ফল প্রকাশ হয়েছিল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের, রাজ্যে প্রথম হয়েছিল মহম্মদ সাহিল আখতার। এবার সাফল্য জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষাতেও। রুবি ডিপিএস পার্কের ছাত্র সাহিল বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের মধ্যে গোটা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। পাশাপাশি রাজ্যে তার স্থান দ্বিতীয়। তীব্র জেদ,দীর্ঘ অধ্যাবসায়ের পরই মিলেছে একের পর এক সাফল্য।
ছোটবেলা থেকেই বাঁ পায়ে একটু সমস্যা ছিল সাহিলের কিন্তু সাফল্যের পথে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনদিনই বাঁধা হতে পারেনি। হার না মানা জেদের কাছে আজ পরাস্ত সকল বাধা-বিপত্তি। একের পর পরীক্ষায় সফল হয়েও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরির জীবন চায় না সাহিল। বরং ভবিষ্যতে গবেষণার কাজ করতে চায় সে। সাহিলের বরবরই প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা। অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে গবেষণায় নিজের অবদান রাখতে চায় সে। আর সেই জন্যেই ম্যাসাচুসেটস শহরের MIT তে ভবিষ্যতে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে স্নাতক পড়তে আমেরিকা পাড়ি দিচ্ছে সাহিল। ইতিমধ্যেই সাহিল MIT থেকে পেয়েছে স্কলারশিপ। শুধু ভালো বেতনের জন্য পড়াশোনা নয়, তার লক্ষ্য ভবিষ্যতে অসহায় পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
আরও পড়ুনঃ আধপেটা খেয়েই নিট পরীক্ষায় সফল প্রেরণা
শুধু জয়েন্ট এন্ট্রান্স নয় এর আগে, ইন্টারন্যাশানাল অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অলিম্পিয়াডে ভারতকে সোনার পদক এনে দিয়েছে সাহিল । এছাড়া KVPI, NTSE পরীক্ষাতেও ভালো ফল করেছে। এই কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছে বাবা, মা ,দাদা, শিক্ষক, পরিবার- পরিজনদের। তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ সাহিল। এত পড়াশোনার চাপের মধ্যেও বাঁচিয়ে রেখেছে মিউজিকের উপর নিজের সখটাকে। শুধুমাত্র মোটা বেতনের চাকরিকেই জীবনের লক্ষ্য বানাতে নারাজ সাহিল। আর্থিক সমস্যার জন্য যারা জয়েন্টের মতো পরীক্ষার কোচিং পায়না, তাদের পাশেও থাকতে চায় এই হবু গবেষক।