SSC | “আমি সাদা খাতা জমা দিইনি, যে খাতা দেখানো হচ্ছে তা ভুয়ো” বললেন অবৈধদের তালিকায় থাকা শিক্ষক!
![SSC](https://exambangla.com/wp-content/uploads/2022/12/20221226_110037.jpg)
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের নাম। সম্প্রতি এসএসসির ওয়েবসাইটে এই সকল প্রার্থীর ওএমআর শিট ও নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট তালিকায় নাম থাকা ময়নাগুড়ির এর শিক্ষককে ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, তিনি সাদা খাতা জমা দেননি। পর্ষদের তরফে যে খাতা দেখানো হচ্ছে তা ভুয়ো।
সারা রাজ্য এখন নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তোলপাড়। একাধিক মামলার বিচার চলছে আদালতে। নিত্যদিন বিচারপতির নির্দেশে চাকরি বাতিল হচ্ছে অযোগ্যভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের। বহু ওএমআর শিটে মিলেছে দুর্নীতির গন্ধ! পরীক্ষার খাতায় শূন্য, দুই, তিন পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর বদলে যাচ্ছে সার্ভারে! এভাবেই নিয়োগ মিলেছে তাঁদের! কখনও লিখিত তো কখনও মৌখিক নম্বর বিকৃতির অভিযোগ সামনে আসছে। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেয়েছিল এরকমই দুর্নীতিগ্রস্ত বেশ কিছু ওএমআর শিট ও তার সাথে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের নাম। তা সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে শুরু বিতর্ক।
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পৌরসভায় গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগ
দেখা যাচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনিভাবে নিযুক্ত এই সকল প্রার্থীরা বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত। এভাবে সন্ধান করতে খোঁজ মিলেছে ময়নাগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুজন ভূগোলের শিক্ষকের। সূত্রের খবর, একজনের নাম রশিদুল হোসেন ও অপরজন লিটন বর্মন। যার মধ্যে শিক্ষক লিটন বর্মণের বর্তমানে খোঁজ নেই। তবে অন্যজন তথা রশিদুল হোসেন কে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সমস্ত ঘটনাটিকে অস্বীকার করে নেন। একইসাথে তাঁর বক্তব্য, এই গোটা ঘটনাটিই আদালত ও পর্ষদের বিষয়, সেখানে তাঁর কিছু বলার নেই। এছাড়া তাঁর দাবি, তিনি সাদা খাতা জমা করেননি। পর্ষদে যে খাতা দেখানো হচ্ছে তা আসলে ভুয়ো।