শিক্ষক নিয়োগ কান্ডে যেখানে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য সেখানে গুরুতর অভিযোগ উঠলো মুর্শিদাবাদের এক ভূগোল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সোমা রায় নামক এক চাকরিপ্রার্থী RTI করে জানতে পেরেছেন মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাইস্কুলের ভূগোল শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি অন্যের সুপারিশপত্র নকল করে চাকুরিরত তিন বছর ধরে। অভিযোগ শুনে স্তম্ভিত বিচারপতির প্রশ্ন এরকম ঘটনা আরও ঘটেছে কিনা!
শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতি এ রাজ্যে নতুন নয়। সময় এগোতেই সামনে এসেছে একাধিক দৃষ্টান্ত। এর আগে একই মেমো নম্বরে দুজন প্রার্থীর চাকরি পাওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে এবার জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের ভূগোল শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি অন্য এক প্রার্থী আতাউর রহমানের সুপারিশপত্র নকল করে তথা সুপারিশপত্রের মেমো নম্বর ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছিলেন।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে গ্রুপ- ডি পদে কর্মী নিয়োগ
অথচ অনিমেষ ২০১৬ সালের ভূগোল বিষয়ের SLST পরীক্ষাতেই বসেননি! শুধু তাই নয়, এই ভুয়ো সুপারিশপত্রে তিন বছর ধরে ভূগোল শিক্ষকের পদে চাকরিও করেছিলেন তিনি। এছাড়া জানা গিয়েছে, অনিমেষ তিওয়ারির বাবা আশিষ তিওয়ারি ওই একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এক্ষেত্রে দাবি উঠছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক যুক্ত না থাকলে এহেন ঘটনা ঘটা সম্ভবই নয়।
চাকরির খবরঃ ১১ হাজার শূন্যপদে হাবিলদার ও মাল্টি টাস্কিং স্টাফ নিয়োগ
এদিন সংশ্লিষ্ট অভিযোগ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি প্রশ্ন করেন এই ঘটনা আরও ঘটেছে কিনা! সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্তে বিচারপতি এবার DIG CID কে দায়িত্বভার দিতে চান। এই দায়িত্বভার নিতে সিআইডি রাজি আছে নাকি তা জানাতে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে সিআইডিকে। প্রসঙ্গত, এহেন অভিযোগ সামনে আসায় অনিমেষ তিওয়ারির চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ইতিমধ্যেই। অনিমেষের যাবতীয় ডকুমেন্টসেও মিলেছে অসঙ্গতি। মামলার তদন্তভার সিআইডি নিলে এ বিষয়ে আরও জানা যাবে বিস্তারিত।