জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP 2020) অনুসারে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালুর প্রস্তাবনা হয়। অন্যান্য রাজ্য এর সপক্ষে কথা বললেও পশ্চিমবঙ্গে এই স্নাতক কোর্স চালু হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে বহু টালবাহানার পর এ রাজ্যেও চালু হচ্ছে ‘ফোর ইয়ার আন্ডারগ্র্যাজুয়েট সিস্টেম’। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হবে নতুন নিয়ম। এই স্নাতক কোর্সে মাল্টিপল ‘এন্ট্রি’ ও ‘এক্সিট’ সিস্টেম রাখা হয়েছে। তবে এখানেই সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা।
ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠছে, ‘ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এক একটি বিশ্ববিদ্যালয় এক একটি নিয়ম মানছে। যেমন, উচ্চশিক্ষা দফতরের বিধি মোতাবেক স্নাতক কোর্সে এক, দুই বছর পড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। এদিকে রবীন্দ্রভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চার বছরের পাঠ্যক্রমে ভর্তি নিচ্ছে। আবার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তিন বছর পর স্নাতক ছাড়ায় সম্মতি দিচ্ছে। তিন বছরের জেনারেল ও চার বছরের স্নাতক উভয় পাঠ্যক্রমই চালু রাখা হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। তবে, প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে পড়ুয়াদের বেরিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ রাখছে না রাজ্যের বহু বিশ্ববিদ্যালয়। যার দরুণ দোটানার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুনঃ রেলওয়ে দপ্তরে কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ
সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশন কমিটি গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে। অন্যদিকে, কারিকুলাম ও ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক মেনে স্নাতক কোর্সে এক, দুই, তিন ও চার বছরের পাঠ্যক্রম তথা স্নাতক কোর্সে ‘এক্সিট’ সিস্টেম চালু করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কথায়, পড়ুয়ারা যাতে চার বছরের স্নাতক কোর্সে পঠনপাঠন করে তাই চাইছেন তাঁরা। তবে ‘এক্সিট’ অপশন চালুর বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।