গোটা রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ডি.এল.এড প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডি.এল.এড পাশ করা পড়ুয়ারা চরম সংকটে। এবার থেকে স্নাতক স্তরে 50 শতাংশ নম্বর না থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য আবেদন করতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। আপাতত তেমনটাই বলা রয়েছে এন.সি.টি.ই ‘র নয়া নিয়মে। দেশজুড়ে প্রতিটি রাজ্যে প্রাক- প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় নির্দেশিকা দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন’ (NCTE)। সম্প্রতি এন.সি.টি.ই ‘র সচিব কেসং ওয়াই শেরপা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এখন থেকে স্নাতকোত্তরে 55 শতাংশ নম্বর সহ তিন বছরের ইন্টিগ্রেটেড বি.এড বা এম.এড কোর্স পাশ করলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসা যাবে।
এই নতুন নিয়মে দেশজুড়ে যেমন ডি.এল.এড প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তেমন যে চাকরিপ্রার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে 50 শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়ে ‘ডিএলএড’ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা আচমকাই প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে চলেছেন।কারণ এন.সি.টি.ই ‘র নতুন নিয়মের জন্য জন্য লাখ লাখ বি.এড, এম.এড উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় সামিল হয়েছেন। অথচ ডি.এল.এড উত্তীর্ণদের সামনে প্রাথমিক শিক্ষকতা বাদে বিকল্প প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে ‘ডি.এল.এড’ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ভবিষ্যৎ প্রায় অন্ধকার।
রাজ্য জুড়ে এখন সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট 649 টি ডি.এল.এড প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে 70 টি সরকারি বাকিগুলি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এই মুহূর্তে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বি.এড পড়ার ঝোঁক বেশি, কারণ এতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, আপার প্রাইমারি স্তরে শিক্ষক পদে আবেদনের পাশাপাশি প্রাইমারি স্তরেও আবেদন করা যাবে। কিন্তু ডি.এল.এড প্রশিক্ষণে কেবল প্রাক- প্রাথমিক ও প্রাথমিকে আবেদন করা যায়। তাই অন্ধকার ভবিষ্যতের আশঙ্কায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডি.এল.এড পড়ার প্রতি গুরুত্ব না বাড়ায় গত তিন বছরে ডি.এল.এড কোর্সে ভর্তিতে ভাটা পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ
চাকরি না পেয়ে আত্মঘাতী রাজ্যের এক যুবক
গ্রামীণ পোস্ট অফিসে কাজের সুযোগ
প্রাইমারি টেট ফল প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ
এমতাবস্থায় এন.সি.টি ‘র নয়া অসঙ্গতিপূর্ণ সিদ্ধান্তে সায় দিতে নারাজ শিক্ষা মহলের বহু বিশিষ্টজনেরা। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, এন.সি.টি.ই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা মানকে কেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমতুল করে দিল এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। এতে ডি.এল.এড প্রতিষ্ঠানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।