এক নজরে
নীতি আয়োগ: 2015 সালের 1 জানুয়ারি “National Institution for Transforming India” সংক্ষেপে NITI Aayog, সংস্থাটি প্রতিস্থাপন করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। পরিকল্পনা কমিশন বা যোজনা আয়োগ এর পরিবর্তে গঠন করা ভারতের একটি অর্থনৈতিক সংস্থা হল নীতি আয়োগ। নীতি আয়োগ যুক্তরাষ্ট্রীয় চিন্তাভাবনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই প্রবন্ধটিতে নীতি আয়োগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যাদি তুলে ধরা হল।
নীতি আয়োগ
2015 সালের 1 জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের উত্তরসূরী হিসেবে নীতি আয়োগ এর উত্থান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীতি আয়োগ হলো ভারত সরকারের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’, যা কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে নির্দেশনামূলক নীতি অর্থাৎ উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা, দীর্ঘমেয়াদী নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
নীতি আয়োগের গঠন
চেয়ারপার্সন- ভারতের প্রধানমন্ত্রী
গভর্নিং কাউন্সিল- সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের নিয়ে গঠিত।
আঞ্চলিক পরিষদ- এগুলি একাধিক রাজ্য ও অঞ্চলকে প্রবাহিত করে এমন নির্দিষ্ট সমস্যা মোকাবিলার জন্য গঠিত। আঞ্চলিক পরিষদ গুলি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গঠিত হয় এবং এগুলিকে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান করেন। প্রধানমন্ত্রী মনোনীত প্রার্থী বা প্রধানমন্ত্রী নিজেই আঞ্চলিক পরিষদের সভাপতিত্ব করবেন।
বিশেষ আমন্ত্রিত- প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত বিশেষ আমন্ত্রিত ব্যক্তি। প্রাসঙ্গিক ডোমেন জ্ঞান সম্পন্ন বিশেষজ্ঞ এবং অনুশীলনকারীরা।
পূর্ণ মেয়াদি সাংবিধানিক কাঠামো- এটি ভাইস চেয়ারপার্সন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পদাধিকারী সদস্য, স্বল্পমেয়াদি সদস্য এবং সচিবালয় নিয়ে গঠিত।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তালিকা
নীতি আয়োগের উদ্দেশ্য
কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে উভয়ের জন্য ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ হিসেবে কাজ করা। যুক্তরাষ্ট্রীয় চিন্তাভাবনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
ভারত সরকারের কর্মসূচি গুলির বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করা। সমাজের পিছিয়ে পড়া গ্রামগুলি জাতীয় উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গুলির মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখা।
দেশের উদ্যোগ-পতিদের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা।
দীর্ঘমেয়াদী নীতি ও পরিকল্পনা কাঠামো গঠনের মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সুদৃঢ় করা।
উন্নয়নমূলক কার্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে সংহতি স্থাপন করা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে গুরুত্ব প্রদান করা।
নীতি আয়োগ এর কার্যাবলী
2015 সালের 1 জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীতি আয়োগ এর প্রতিস্থাপন করেন। পরিকল্পনা কমিশনের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর গুরুত্ব আরোপ করে নির্দেশনামূলক ইনপুট সরবরাহের জন্য নীতি আয়োগ এর গঠন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে নীতি আয়োগ গঠন করা হয়েছিল। সুতরাং পরিকল্পনা কমিশনের মত এটিও কোনো সাংবিধানিক সংস্থা নয়। এটি একটি নির্বাহী সংস্থা।
একটি দক্ষ সংস্থা হিসেবে নীতি আয়োগ ভারত সরকারের অর্থনৈতিক কর্মসূচি গুলির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখবে এবং কেন্দ্র ও রাজ্যকে প্রযুক্তিগত বিষয় পরামর্শ প্রদান করবে।
দেশের অভ্যন্তরে ফেডারেলিজম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় চিন্তাভাবনার প্রচার করা এবং গ্রাম স্তরে বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রক্রিয়া তৈরি করা।
নীতি আয়োগ এর সাতটি স্তম্ভ কি কি?
নীতি আয়োগ এই সাতটি স্তম্ভের উপর নির্ভর করে নির্দেশনামূলক নীতি গ্রহণ করে।
- প্রো-পিপল
- প্রো-আ্যাক্টিভিটি
- পার্টিসিপেশন
- ক্ষমতায়ন
- সকলের অন্তর্ভুক্তি
- সাম্যতা
- স্বচ্ছতা