দেশের যুব সম্প্রদায় দেশের ভবিষ্যত। তাঁদের হাতেই গড়ে উঠবে আগামীদিনের ভারত। অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছেন যাঁদের প্রচলিত কোর্সগুলিতে পড়ার আগ্রহ থাকে না। ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা ডাক্তারি পড়তে চান না তাঁরা। এমন অনেক পড়ুয়া আছেন যাঁদের রাজনীতির প্রতি ঝোঁক। দেশের ইতিহাস, রাজনৈতিক ভাবধারা জানতে চান তাঁরা। ভবিষ্যতে যোগ দিতে চান রাজনীতির ময়দানে। এমনই শিক্ষার্থীদের জন্য এবার ভাবনা চিন্তা চলছে দেশে। অতি শীঘ্রই তাঁদের জন্য একটি ট্রেনিং কোর্স চালু হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি ‘পলিটিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খোলার প্রস্তাব দিয়েছেন কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার ইউটি খাদের। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সর্বসমক্ষে বলেন তিনি। ইউটি খাদের জানান, এই কোর্সের মেয়াদ হবে এক বছরের। যার মধ্যে ছয় মাস ধরে চলবে থিওরি ক্লাস আর বাকি ছয় মাস ধরে চলবে প্র্যাকটিকাল ক্লাস। গোটা এক বছরের এই কোর্সে পড়ানো হবে রাজনীতি ও সরকার নিয়ে। পড়ার সিলেবাসে থাকবে রাজনীতি সম্বন্ধীয় অধ্যায়। কোর্স শেষে থাকবে ইন্টার্নশিপের সুবিধা-সহ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বিষয়ে আগ্রহী পড়ুয়াদের রাজনীতির ট্রেনিং নেওয়া খুবই জরুরি। তাছাড়া রাজনীতিতে যেভাবে যুব সম্প্রদায়ের যোগদান বাড়ছে তাতে এই কোর্স যথেষ্ট সুদূরপ্রসারী বলেই মনে করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ এই সরকারি ইন্টার্ণশীপে আবেদন করলে পাবেন ১৫ হাজার টাকা
কোর্সে ভর্তির যোগ্যতামানও নির্ধারণ করা হয়েছে। স্নাতক পাশের যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীরা এই কোর্সে যুক্ত হতে পারবেন। কোর্স শেষ হলে থাকছে বিভিন্ন ভূমিকায় কাজের সুযোগ। কোর্স চলাকালীন তাঁদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগ করতে আসতে পারেন দেশের মন্ত্রী ও বিধায়কেরা। অতি শীঘ্রই এই কোর্স চালু হতে চলেছে দেশে। কবে থেকে ক্লাস শুরু হবে আর কিভাবে আবেদন করবেন, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পুনের একটি সংস্থা এই কোর্সের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই সংস্থাকে সিলেবাস তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রী দের জানানো হবে।