২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা সম্বন্ধে আদালতে বক্তব্য রাখা হলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। প্রায় আট বছর পর জানানো হলো টেট পরীক্ষা ২০১৪ র সমস্ত OMR শিট বা উত্তরপত্র নষ্ট করা হয়। এবং আলাদা করে রাখা হয়নি কোনোও OMR শিটই। এর আগে OMR শিট নষ্ট নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে পরীক্ষার OMR শিট নিয়ে বক্তব্য রাখা হলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। রাজ্যে টেট দুর্নীতি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে বহুবার। সামনে এসেছে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলেছে এবিষয়ে। এর আগে গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট তথা উত্তরপত্রের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
এবার এই বিষয়েই উত্তরপত্র নিয়ে দাবি রাখলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। এদিন টেটের ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত একটি মামলার প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তিনি জানান, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী। যাদের কারোর উত্তরপত্রই রাখা হয়নি। অর্থাৎ অংশগ্রহণকারী সকল পরীক্ষার্থীরই OMR শিট নষ্ট করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি পর্ষদকে ভৎর্সনার মাধ্যমে বলেন, অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়েই পরীক্ষার উত্তরপত্রগুলি নষ্ট করা হয়। এবং তার বরাত দেওয়া হয় বাছাই করা কিছু সংস্থাকে। এবং পর্ষদের এহেন ক্রিয়াকলাপ আদালতের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করছে। এর সাথেই বিচারপতি জানান, মোট কত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর ও এম আর শিট নষ্ট হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ
অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কজনের উত্তরপত্র নষ্ট হলো তাও জানা নেই পর্ষদের। এর প্রায় মাস খানেক পর সোমবার মামলার প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী দাবি করেন, পরীক্ষার জন্য প্রায় কুড়ি লক্ষ আবেদন জমা পড়লেও ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন মোট ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী। বাকি আবেদনকারীরা সেদিন পরীক্ষা দেন নি। এবং অংশগ্রহণকারী এই ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থীর OMR শিট ই নষ্ট করা হয়, এমনই দাবি জানানো হয়।
যদিও সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে CBI তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে পর্ষদের আইনজীবীর এহেন বক্তব্যে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। সাথে তিনি এও জানিয়েছেন, পর্ষদের কর্তাদের এহেন আচরণের উদ্দেশ্যে সম্পর্কেও সন্দিহান আদালত।