এদিন শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রকাশ পায় ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ লক্ষাধিক প্রার্থী ও সংরক্ষিত শ্রেণীর ‘৮২’ পাওয়া প্রায় সাত হাজার প্রার্থীর নম্বর তালিকা। বিকেল চারটে নাগাদ প্রকাশ পায় বিজ্ঞপ্তিটি। তবে অবাক হওয়ার বিষয় এখানেই যে, তালিকাটিতে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর নামের সাথে নম্বর থাকলেও বহু পরীক্ষার্থীর নম্বর আছে কিন্তু নাম নেই। একই সাথে সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীদের যে তালিকা প্রকাশ পেয়েছে সেখানে রয়েছে শুধুই নম্বর, কিন্তু নাম নেই এক জনেরও। অর্থাৎ নম্বরের অসম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
বহু টালবাহানার পর প্রকাশ পেয়েছে ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের নম্বর। ২০১৪ সালের পর সাত বছরের দীর্ঘ সময় পেরোলেও আলাদাভাবে নম্বর জানতে পারেননি উত্তীর্ণরা। পাননি শংসাপত্র ও। টেটের ইন্টারভিউর আবেদন সহ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণেও সমস্যায় পড়েন তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে সমস্ত দিক বিবেচনা করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে সরাসরি প্রশ্ন করে জানতে চান বিলম্বের কারণ।
আরও পড়ুনঃ ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশ পর্ষদের
এরপরই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন বর্তমান পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, বিচারপতির নির্দেশ অনুসারে সেদিনই প্রকাশ পেতে চলেছে ২০১৭ সালের টেটের নম্বর। আর চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ পাবে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর। ঘোষণামাফিক সেদিন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশ পেতেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে, এতগুলো বছর কেটে গেলেও যে নম্বর সামনে এল না, তা বিচারপতির নির্দেশে হঠাৎ করেই প্রকাশ পেল কিভাবে? এমনকি নম্বরের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এরপর, পর্ষদ সভাপতির ঘোষণা অনুসারে শুক্রবার প্রকাশ পেল ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর। তবে গরমিল এখানেও। নম্বর তালিকায় নেই অধিকাংশ প্রার্থীর নাম। সংরক্ষিত শ্রেণীর ‘৮২’ পাওয়া প্রার্থীদের তালিকায় তো নামই নেই কারোর। এহেন অসম্পূর্ণ তালিকার সত্যতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। দীর্ঘ সাত বছর পর নম্বর জানতে পেরেও অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীরা।