আগামী ১১ই ডিসেম্বর রাজ্যে টেট পরীক্ষা। সেইমতো গত ১৪ ই অক্টোবর থেকে শুরু হয় অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া। আবেদনের প্রথম দিনেই জমা পড়ে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি আবেদনপত্র। প্রতিদিন যে হারে আবেদন জমা পড়েছে সেই মতো আগেই ধারণা করা গিয়েছিল যে, এবছরের টেট পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা সাত লক্ষ ছুঁতে পারে। যা পেরিয়ে যাবে আগের দুই বছরের মোট আবেদনের সংখ্যাকে। গত ৩রা নভেম্বর আবেদন গ্রহণের শেষ দিনের পর দেখা গেল জমা পড়েছে প্রায় রেকর্ড সংখ্যক আবেদন। যা স্বাভাবিকভাবেই ছাড়িয়ে গিয়েছে আগের দুই বছরের রেকর্ডকে। এদিন দেখা যায় বাইশের টেটের মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। যা প্রায় সাত লক্ষের কাছাকাছি।
২০১৭ র পর প্রায় ছয় বছর পর এবছর অর্থাৎ ২০২২ এ হতে চলেছে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বা টিচার এজিবিলিটি টেস্ট যা সংক্ষেপে ‘টেট’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এবছরের টেট পরীক্ষাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি দাবি রেখেছেন এবছরের টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরপেক্ষ পদ্ধতি অবলম্বন করে। যেখানে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। অন্যদিকে টেট দুর্নীতিতে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিরা।
আরও পড়ুনঃ
প্রাইমারি টেট পেডাগজি প্র্যাক্টিস সেট
প্রাইমারি টেট পরিবেশ বিদ্যা প্র্যাক্টিস সেট
আদালতেও চলছে একাধিক মামলা। তার মধ্যে বিচারাধীন রয়েছে বহু মামলাই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরির দাবিতে চলছে বিক্ষোভ, ধর্ণা, আন্দোলন। এহেন বাতাবরণের মধ্যেই শুরু হয় টেট পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া। আবেদনের প্রথম দিন থেকেই প্রার্থী সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছিল আবেদন গ্রহণের সময়। এদিনের পর দেখা যায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার বা প্রায় সাত লক্ষের কাছাকাছি আবেদনপত্র জমা পড়েছে, আগের বার যা ছিল ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪ জন। যথারীতি এবছরের আবেদনকারীর সংখ্যা আগের দুই বছরের রেকর্ডকে হার মানায়।
আরও পড়ুনঃ প্রাইমারি টেট ফর্ম ফিলাপে ভুল হয়েছে? সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু
প্রসঙ্গত, এই বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর অনলাইন আবেদনপত্রে কোনোও ভুল থাকলে তা সংশোধনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। এদিন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয় পরীক্ষার্থীদের আবেদনপত্রে আনা হচ্ছে এডিট অপশন। সেক্ষেত্রে কোনোও আবেদনকারীর ফর্মে কোনোও ভুল থাকলে তা তিনি সংশোধন করে নিতে পারবেন। বহু আইনি জটিলতা কাটিয়ে এবছর ফের অনুষ্ঠিত হতে চলেছে টেট পরীক্ষা। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে নিয়োগ হবে ১১ হাজার শূন্যপদে। অর্থাৎ এই সাত লক্ষ পরীক্ষার্থীর জন্য এবারের পরীক্ষা যে রীতিমতো প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করবে তা আন্দাজ করাই যায়।