ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ প্রাইমারি টেট (TET ২০২৩) পরীক্ষা। ওই দিন দুপুর বারোটা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা যা চলবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। চলতি বছরের টেটে বসতে চলেছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী। প্রতি বছরের টেটের আগে বিস্তারিত নিয়মাবলী প্রকাশ করে পর্ষদ। চলতি বছরেও টেট পরীক্ষার্থীদেরও মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। পরীক্ষার দিন কয়েক আগেই নিয়মাবলী জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। টেট পরীক্ষার্থীদের কোন কোন নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে? জেনে নিন একনজরে।
টেট পরীক্ষার্থীদের যেসব নিয়ম মানতে হবে –
➲ ২৪ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা শুরু হচ্ছে দুপুর ১২ টা থেকে। শেষ হবে আড়াইটে নাগাদ। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক টেট পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ২ ঘন্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।
➲ প্রত্যেক টেট পরীক্ষার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড ও একটি আইডি প্রুফ সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে।
➲ পরীক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে কালো বল পেন, অ্যাডমিটের দুইটি কপি ও অতিরিক্ত পাসপোর্ট সাইজ ছবি নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসবেন।
➲ টেটের দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছনোর পর নিজ রোল নম্বর অনুসারে নির্দিষ্ট আসনে বসতে হবে সব পরীক্ষার্থীদের। নিজ জায়গা ব্যাতিত অন্যত্র বসলে সেই পরীক্ষার্থীকে বাতিল বলে গণ্য করা হবে।
আরও পড়ুনঃ বদলে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের ৪৭টি বিষয়ের সিলেবাস
➲ পরীক্ষার হলে কোনও ইলেকট্রনিক্স বস্তু বহন করে নিয়ে যাওয়া চলবে না। যেমন, মোবাইল ফোন, ইয়ারফোন, কোনোও প্রকার মাইক্রোফোন, স্ক্যানার, পেন ড্রাইভ, অথবা ব্লুটুথ জাতীয় জিনিস নিয়ে যাওয়া কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।
➲ পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে ইনভিজিলেটরের অনুমতি ছাড়া কোনোও পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হল থেকে বেরোতে পারবেন না।
➲ কোনোওপ্রকার খাবার অথবা পানীয় জাতীয় জিনিসও পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতর কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
➲ টেট পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে কোনও প্রকার গহনা অথবা ঘড়ি পরে বা বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন না।
➲ পরীক্ষা শেষে OMR-এর মূল কপি (গোলাপি রঙের) সেটি জমা করতে হবে।
➲ পরীক্ষার শেষে পরীক্ষার্থীরা টেট ২০২৩-এর প্রশ্নপত্র, ওএমআর অ্যানসার শিট এবং অ্যাডমিট কার্ড বাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের টেট পরীক্ষাকে সব দিক থেকে সফল করতে তৎপর পর্ষদ। টেটে স্বচ্ছতা আনতে আলাদা নজরদারির ব্যাবস্থা থাকছে বলে জানা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি, আগের বছরের টেট পরীক্ষার নিয়ম বদলে গেছে চলতি বছরে। যেমন, টেটের বায়োমেট্রিক প্রসেসে বদল এনেছে পর্ষদ। সবমিলিয়ে চলতি বছরের টেট যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, এখন সেটাই পর্ষদের প্রধান লক্ষ্য।