রাজ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা হল প্রাইমারি টেট। দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে টেটের আয়োজন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রেজাল্ট প্রকাশে দেখা যায়, উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ পরীক্ষার্থী। তবে এই সকল প্রার্থীরা কবে চাকরি পাবেন তা অনিশ্চয়তার মুখে। কারণ ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা এখনও অপেক্ষারত। এমতাবস্থায় নতুন করে টেট নেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? টেট হলে তার শূন্যপদই বা কত হবে? আলোচনা সারতে বৈঠকে বসল পর্ষদ।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে টেট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। সম্পন্ন হয়েছে টেটের আবেদন প্রক্রিয়াও। ডিসেম্বরের ১০ তারিখ রাজ্য জুড়ে নেওয়া হবে প্রাইমারি টেট। কিন্তু পরীক্ষার আগেই অনিশ্চয়তার মেঘ ঘনিয়ে রাজ্যে। আদালতে চলা মামলা জটিলতায় থমকে রয়েছে আগের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। বহু চাকরিপ্রার্থীর বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, তো অনেকে অন্য পেশায় যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া সারতে কত বছর লাগবে, তা এখনও অজানা। চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, কেবল টেট পরীক্ষা হচ্ছে আর টেট পাশের সংখ্যা বাড়ছে। না তাঁরা চাকরি পাচ্ছেন, না তাঁদের গতি হচ্ছে! সূত্রের খবর, এহেন অসন্তোষ বাতাবরণে ফের বৈঠকে বসতে চলেছে পর্ষদ। আগামী ২৯ নভেম্বর জেলা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। আসন্ন টেট পরীক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে এই বৈঠক থেকে।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে যোগা ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ
রাজ্যের টেট পাশ প্রার্থীদের বক্তব্য, আগের লাখ লাখ চাকরিপ্রার্থী যেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন সেখানে ফের নতুন করে টেটের আয়োজন কেন? এতে তো জটিলতা কমার বদলে উলটে বাড়বে। তাছাড়া ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণদের ভবিষ্যতই বা কী হবে? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, পর্ষদ জানিয়েছিল বছর বছর আয়োজিত হবে টেট। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতেই কী টেট নেওয়ার সিদ্ধান্ত, নাকি অন্য কিছু? এহেন সওয়াল জবাবের মাঝে নতুন করে বৈঠকে বসবে পর্ষদ। বৈঠক শেষে কী সদুত্তর মিলবে? অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা।