প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল চলতি বছরের টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বি-এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা। সেই অনুযায়ী আবেদন ও গ্রহণ করা হয়। তবে সম্প্রতি পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্ট যদি বি-এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের টেটে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে মান্যতা দেয় তবেই তাঁরা চলতি বছরের টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলা টেট পরীক্ষায় কারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন আর কারা পারবেন না তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পর্ষদ। পরিবর্তন আনা হয়েছে যোগ্যতামান এও। এর আগে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পর্ষদ জানায়, বি-এড, ও ডি-এল-এড কোর্সে ভর্তি হওয়া প্রার্থীরাও টেটে বসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে পর্ষদের তরফে জানানো হয় বি-এড উত্তীর্ণরাও অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবছরের টেট পরীক্ষায়। ফলে সেই অনুযায়ী বহুসংখ্যক আবেদনকারী পরীক্ষার জন্য আবেদন করে। কিন্তু সম্প্রতি পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, বি-এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের চলতি বছরের টেট পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই নির্ধারিত হবে যে তাঁরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না।
আরও পড়ুনঃ রেজাল্টের সঙ্গে উত্তরপত্র দেওয়া হবে টেট প্রার্থীদের
গত ১৪ই অক্টোবর থেকে শুরু হয় আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত তা গ্রহণ করা হয়। আবেদন গ্রহণের শেষে দেখা যায় আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৭ লক্ষের কাছাকাছি। এবছর এই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ কার্যত পেরিয়ে গিয়েছে আগের বছরের রেকর্ডকে। সূত্রের খবর, যেহেতু আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে বি-এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সংখ্যা নেহাত কম নয়, তথাপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যদি বি-এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া হয়, তবে কার্যতই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কমবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।