২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট (TET) পরীক্ষার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ সময়। এদিকে ফলাফল প্রকাশ পেলেও এখনও টেট (TET) পাশ সার্টিফিকেট পাননি পরীক্ষার্থীরা। কিছুদিন আগে পর্ষদ সভাপতি হাইকোর্টে জানিয়েছেন, আগামী ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু কেন এত দেরি হলো টেট (TET) পাশ সার্টিফিকেট দিতে? সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বক্তব্য রাখলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
পর্ষদ সভাপতি জানালেন, আদালতে মামলার ভয়ে পুরনো কনফিডেন্সিয়াল কোম্পানি শংসাপত্র দিতে নারাজ। এই কারণে কাজ করতে চাইছে না তারা। পর্ষদ সভাপতির কথায়, “যাঁরা বোর্ডকে সে সময় সাহায্য করতেন অর্থাৎ কনফিডেন্সিয়াল সেকশনে ছিলেন তাঁদেরই এই শংসাপত্র দেওয়ার কথা। আমরা তাঁদের অনুরোধ করি এই শংসাপত্র দেওয়ার জন্য। বরং তাঁরা রাজি হয়নি। বলে, পর্ষদের কাজ তারা করবে না। তাঁরা বলেন, আমরা কোর্ট কেসে জড়িয়ে যাচ্ছি, আর কাজ করতে পারবো না।” পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, এই বিষয়টি শেষ মুহুর্তে জানানো হয়েছে পর্ষদকে। ফলে জটিলতা সৃষ্টি হয় টেট সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষেত্রেও। যার দরুণ বিকল্প হিসেবে আর একজন কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ NPCIL -এ লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই ইন্টারভিউর মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ
সম্প্রতি ২০১৪ সালের টেট (TET) পাশ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মামলায় আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। সেখানে আর্থিক সমস্যার কারণে পর্ষদ টেট (TET) পাশ সার্টিফিকেট দিতে পারছে না এমন কথাও ওঠে। এদিকে পর্ষদ সভাপতি জানালেন, “আর্থিক অনটনে আমরা শংসাপত্র দিতে পারিনি এ কথা কিন্তু বলিনি।” যদিও উক্ত দিনে তিনি বিচারপতির কাছ থেকে আগামী ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত সময়কাল চেয়ে নেন। তাঁর বক্তব্য, আশা করছি সেই সময়ের মধ্যে ২০১৪ সালের সমস্ত টেট পাশ প্রার্থীরা তাঁদের সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। এছাড়া ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও চলতি মাসে শংসাপত্র দেওয়া হতে পারে বলে জানালেন তিনি।