ডিসেম্বরে হতে চলা প্রাইমারি টেট নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার। একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে টেট কে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি সেই উদ্দেশ্যেই নবান্নে আয়োজিত হলো বিশেষ বৈঠক। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে ডাকা হয় সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের। সূত্রের খবর বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানান, টেট পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হলে তার দায় থাকবে জেলাশাসকদের ওপর।
সারা রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে প্রশ্নের মুখে সরকার। তদন্তে সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার হয়েছেন ওজনদার ব্যক্তিত্বরা। নিত্যদিন আদালতে চলছে মামলার শুনানি। বিচারপতির হুঁশিয়ারিতে তটস্থ পরিস্থিতি। বিভিন্ন প্রান্তে চলছে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। এসবের মধ্যেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার জেরেও অশান্তি অব্যাহত রাজ্যে। সরগরম রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
এসব যেমন একদিকে তেমনই অন্যদিকে প্রস্তুতি চলছে প্রাইমারি টেট পরীক্ষার। দীর্ঘ ছয় বছরের জটিলতা কাটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে চলেছে টেট।
Primary TET Practice Set: Download Now
পরীক্ষায় বসবেন প্রায় সাত লক্ষ পরীক্ষার্থী। রাজ্য জুড়ে ১৪৫৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে হবে পরীক্ষা। সেইমতো পরীক্ষার সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর সরকার। চলছে বিভিন্ন দফায় প্রস্তুতি গ্রহণ। জারি হয়েছে ১৬ দফা গাইডলাইন। যা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে প্রতিটি জেলায়। এমতাবস্থায় টেট নিয়ে জরুরি বৈঠকের আয়োজন হয় নবান্নে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, প্রত্যেক জেলার জেলাশাসক, বিভিন্ন দফতরের প্রধান, ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। বৈঠকে টেট পরীক্ষার দায়িত্বভার বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব বলেন, টেট পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হলে তার দায় জেলাশাসকের। এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধানে দায়বদ্ধতা থাকবে জেলাশাসকদের ওপর।
এছাড়া পরীক্ষার্থীদের সুবিধা- অসুবিধার দিকটিও ভাবছে প্রশাসন। তাঁদের সুবিধার্থে চালু হতে চলেছে হেল্প লাইন পরিষেবা। রাজ্যের প্রতিটি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের অফিসে এই হেল্প লাইন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী শীঘ্রই গঠিত হবে হেল্প লাইন নম্বর। এবং তা যাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পরীক্ষার্থীদের কাছে সঠিকভাবে প্রচার পেতে পারে সেই দিকটিও দেখা হচ্ছে বিশেষভাবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে ২০২২ টেট পরীক্ষা নিয়ে কোনও গাফিলতি রাখতে চাইছে না প্রশাসন। সেই অনুযায়ী নেওয়া হচ্ছে একের পর এক নয়া পদক্ষেপ।