প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জারি করা হলো নতুন বিজ্ঞপ্তি। প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষার যোগ্যতা নিয়ে পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলো নতুন বিজ্ঞপ্তিটি। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিটিতে জানানো হয়েছে, স্নাতকস্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেই অংশগ্রহণ করা যাবে টেট পরীক্ষায়। এর আগে টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে যোগ্যতামান নির্ধারক বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় পর্ষদের তরফ থেকে। সেখানে জানানো হয় টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ ব্যাচেলর অব এডুকেশন বা বি-এড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক থাকবে। কিন্তু এবার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেনারেল ক্যাটেগরির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তা ৪৫ শতাংশ নম্বর করা হলো।
অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটেগরির কোনোও প্রার্থী যারা ২০১০ সালের ২৩ শে অগাস্টের আগে স্নাতকসহ বি-এড ডিগ্রি লাভ করেছেন, এবং যাদের স্নাতকস্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বর রয়েছে তাঁরা টিচার এজিবিলিটি টেস্ট বা টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।একইরকমভাবে সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্যও নির্দিষ্ট যোগ্যতামান নির্ধারণ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে। সেখানে বলা হয়েছে ২০১০ সালের ২৩ শে অগাস্টের আগে স্নাতকসহ বি-এড ডিগ্রি যারা পেয়েছেন তারাই টেটে সংরক্ষিত শ্রেণী হিসেবে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এর সাথেই বলা হয়েছে, টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্য স্নাতকস্তরে ৪০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। এবং সাথে তাঁদের বি-এড কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
প্রাইমারি টেট বাংলা প্র্যাক্টিস সেট
প্রাইমারি টেট পরিবেশ বিদ্যা প্র্যাক্টিস সেট
প্রাইমারি টেট পেডাগজি প্র্যাক্টিস সেট
প্রসঙ্গত, রাজ্যে আগামী ১১ ই ডিসেম্বর হতে চলেছে টেট পরীক্ষা। ওইদিন দুপুর বারোটা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে টেট। সম্প্রতি পর্ষদের তরফ থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরীক্ষা বিষয়ক নানা বিষয় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আবেদনকারীদের। পরীক্ষার গাইডলাইন, মডেল প্রশ্নপত্র ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক নিয়মাবলীও জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে ধারণা করা যাচ্ছে এবছর টেট আবেদনকারীর সংখ্যাও যেমন বেশি তেমনই পরীক্ষায় প্রতিযোগিতার মাত্রাও। সূত্রের দাবি, এ বছরের টেট পরীক্ষার আবেদনপত্র প্রায় চার লক্ষ ছাড়িয়েছে, যা আগের বছরের রেকর্ডকে হার মানায়। সুতরাং এই বছরের টেট পরীক্ষায় প্রতিযোগিতার মাত্রা থাকবে যথেষ্ট বেশি। তার ওপর পর্ষদের পক্ষ থেকে টেটে বসার ক্ষেত্রে যোগ্যতামান বিষয়ক এহেন পরিবর্তন নিঃসন্দেহে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করবে।