নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল চলতি বছরের প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। গত ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে আয়োজিত হয়েছিল চলতি বছরের প্রাথমিক টেট। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ছাড়া ত্রুটিহীনভাবেই সম্পন্ন হয়েছে পরীক্ষা। গতবারের তুলনায় ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে প্রাথমিক টেট ২০২৩ -এর ফলাফল প্রকাশের আশা করছেন পরীক্ষার্থীরা। সম্প্রতি এই বিষয়ে বক্তব্য রাখলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব এবং রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী।
প্রাথমিক টেট নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর স্পষ্ট বিবৃতি, “রাজ্যে প্রত্যেক বছর নিয়ম করে আয়োজিত হবে টেট পরীক্ষা। টেট পরীক্ষাতে পাশ করা মানেই চাকরি পাওয়া নয়। প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হল প্রাথমিক স্তরের স্কুলগুলিতে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা মাত্র। টেট পরীক্ষা পাশ করলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের একটি সার্টিফিকেট অর্থাৎ শংসাপত্র প্রদান করবে যার অর্থ এই যে, আপনি রাজ্যের প্রাথমিক স্তরে স্কুলগুলিতে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের শূন্যপদের উপর ভিত্তি করে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ের জন্য দরখাস্ত নেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির পরেই ইচ্ছুক প্রার্থীরা ইন্টারভিউর জন্য আবেদন করতে পারবেন।”
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করলেও মিলবে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ
চলতি বছরের টেট পরীক্ষা প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে টেট পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে যে প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা গিয়েছে তাকে প্রশ্ন ফাঁস বলা যায় না। কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। পর্ষদের নাম বদনাম করার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে বলে তাঁর মতামত। ২০২৩ প্রাথমিক টেটের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে।