প্রাথমিকের নিয়োগে এতদিন লিখিত পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ মিলেছিল। এবার ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর অভিযোগ সামনে এলো। এদিন আদালতের দ্বারস্থ হন ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের দাবি, লিখিত পরীক্ষায় শূণ্য পাওয়া অনেক প্রার্থীকেই মৌখিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে। এমনকি চাকরিও পেয়েছেন তাঁরা।
প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা তুঙ্গে। একের পর এক অভিযোগ ও তার ভিত্তিতে পর্দা ফাঁস। বিতর্কে জর্জরিত নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর আগেই লিখিত পরীক্ষায় বহু কারচুপির অভিযোগ মেলে। শূন্য, দুই, তিন পাওয়া প্রার্থীদের অতিরিক্ত নম্বরে দিয়ে পাশ করানো হয়েছে বলে জানা যায়। এবার ফের নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে অভিযোগে শামিল চাকরিপ্রার্থীরা। লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতির আঁচ মিলছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এদিন ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী আদালতে দ্বারস্থ হয়ে এই অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় নিযুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে অনেকের লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর শূন্য অথচ মৌখিক পরীক্ষায় তাঁরা পেয়েছেন পুরো নম্বর! অতএব কারচুপি ঘটেছে মৌখিক পরীক্ষায়। যার ফলে নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁরা। যথারীতি চাকরিও করছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুনঃ কম নম্বরে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ
এক্ষেত্রে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ওই সকল প্রার্থীদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েও নিয়োগ পাননি তাঁরা। এ প্রসঙ্গে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীর দাবি, যোগ্য প্রার্থীরা বাদে এরকম প্রায় ৩০ হাজার জনের নিয়োগ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টির পর্যালোচনা করে আদালত নির্দেশ দেয়, আবেদনের ভিত্তিতে মামলাকারীদের প্রত্যেকের মৌখিক পরীক্ষা ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর প্রকাশ করতে হবে। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ ই জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।