শিক্ষার খবর

চোখ ধাঁধানো সাফল্য! আটটি সরকারি চাকরি পেয়ে দৃষ্টান্ত গড়লেন কৃষক পরিবারের মেয়ে!

Advertisement

কঠিন অধ্যাবসায় আর অদম্য জেদের কাছে ধরা দেয় সাফল্য। একথা আবারও প্রমাণ করলেন রাজস্থানের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মীনা। সারা দেশ জুড়ে যেখানে চাকরির টানাটানি, সেখানে একটি নয় পরপর আটটি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে আটটি সরকারি চাকরি তাঁর সাফল্যের ঝুলিতে।

রাজস্থানের করৌলির মহাবীরজি সানেট গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মীনা। পাঁচ বছর ধরে একনিষ্ঠ পরিশ্রম চালিয়েছেন তিনি। তারই ফলশ্রুতি এই সাফল্য। তাঁর কথায়, ২০১৬ সালে চাকরি খুঁজছিলেন তিনি। তখন জয়পুরের এক কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। সে বছরই উত্তীর্ণ হন REET এ। এরপর পরীক্ষা দেন নবোদয়ের। প্রথমে নির্বাচিত হন নবোদয় টিজিটি হিসেবে। এরপর নির্বাচিত হন দিল্লি টিজিটি হিসেবে। REET এ সাফল্য পেয়েছেন দুবার। গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে কাজ করারও ডাক পেয়েছিলেন কলেজে। ২০১৭ সাল থেকে একের পর এক সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সফল হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে স্কুলের চাকরি বেছে নেন প্রিয়াঙ্কা। বর্তমানে মাসলপুরের একটি বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত তিনি। এছাড়াও কলেজে পড়ানোর পরীক্ষা ও ইন্টারভিউতে পাশ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ মেঘের দেশে স্বপ্ন সফর বাংলার মেয়ের

ছোটবেলা থেকেই আর্থিক অনটনের মধ্যে বড়ো হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। বাবা ও মা দুজনেই কৃষক। লেখাপড়া না জানলেও চিরকাল ছেলে, মেয়েদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিয়েছেন তাঁরা। প্রিয়াঙ্কার সাফল্যে খুশির রেশ ছড়িয়েছে তাঁর পরিবারে। এহেন সাফল্যের চাবিকাঠি কি? প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘মন স্থির রেখে শুধু পড়াশোনাটা করে যেতে হবে।’

নিজের লক্ষ্যে স্থির প্রিয়াঙ্কা মীনা। এত সাফল্যেও থামতে রাজি নন তিনি। সারাদিন স্কুলে পড়ানোর পর নিজের পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন পাঁচ ঘন্টা সময় রাখেন। ইতিমধ্যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করেছেন তিনি। স্বপ্ন আইএএস হওয়া। ভবিষ্যতে নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলবেন তিনি। এ সময়ের পড়ুয়াদের কাছে নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা প্রিয়াঙ্কা মীনা।

সরকারি চাকরি

Related Articles