রসায়নে স্নাতক সাগরিকা পল্লবী এখন বাসের কন্ডাক্টর। নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই গড়ার লক্ষে পরিবহন ব্যবসার দিকে সাগরিকা। এক বছর আগে থেকে নিজের কেনা বাসে নিজেই কন্ডাক্টরের কাজ করে আসছেন তিনি। একজন শিক্ষিত মেয়ে হয়ে বাসের কন্ডাক্টর শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে মহিলারাও কোন অংশে কম নয় তা সাগরিকাকে দেখলে বোঝা যায়। সাগরিকা তার এই কাজের জন্য ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিবহন সহকর্মীরা সবার কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন।
প্রায় নয় মাস ধরে বাসের মধ্যে কন্ডাক্টরের কাজ করছেন তিনি। কিন্তু প্রথমদিকে, এইরকম একটা ব্যতিক্রমী কাজকে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেওয়াটা তার মতো একজন শিক্ষিত মেয়ের পক্ষে ততটা সহজ ছিল না। একজন মহিলা হয়ে বাসের কন্ডাক্টর -এর পেশাটাকে তার আত্মীয়-পরিজনেরা কোনদিন মেনে নেয়নি। প্রবল ইচ্ছা শক্তি ও মানসিক জোরের কারণে শত বাধা পেরিয়ে আজ নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন তিনি। সাগরিকা জানান, এই কাজের জন্য প্রথম দিক থেকেই তার স্বামীর সাহায্য পেয়েছেন। প্রতিদিন ভোর প্রায় ৫ টা ১৫ মিনিটে চন্দ্রঘোনা বাস স্ট্যান্ড থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তার বাস। চন্দ্রকোনা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত এই বাসটির যাত্রাপথ। এইরকম একটা দূরপাল্লার বাসে কন্ডাক্টরি করে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও তিনি। তবে সাগরিকার দাবি, এতদূর পড়াশোনা করেও চাকরির আশায় ব্যর্থ হয়ে, শেষমেষ পরিবহন ব্যবসার দিকে ঝুঁকি নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
এমএ পাশ করে চপের দোকান চালু করলেন
চাকরি না পেয়ে স্টেশনে চায়ের দোকান টুকটুকির
এমএ পাশ করে ১০০ দিনের কাজ করছে গীতশ্রী