মাত্র ৪ নম্বরের পার্থক্যের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় নাম ওঠেনি সাগ্নিকের। তার জন্য আফশোসও ছিল খুব। তবে হার মানার পাত্র নন তিনি। মেধাবি ছাত্র সাগ্নিক জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাকে নিজের লক্ষ্য বানান। চলে কঠিন অধ্যাবসায়। পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন সাগ্নিক। আর এই পরিশ্রমের ফল মিলল হাতেনাতে। রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষায় অষ্টম স্থান অধিকার করার পর সর্বভারতীয় জয়েন্টে রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম বাঁকুড়ার সাগ্নিক নন্দী।
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া এলাকার বাসিন্দা সাগ্নিক। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র তিনি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৮৩ নম্বর পেয়ে স্কুলের সেরা ছাত্র হয়েছিলেন তিনি। ছোট থেকে মেধাবী সাগ্নিক বাধ্য ছাত্র হিসেবেই পরিচিত। এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই প্রকাশ পেয়েছে এই পরীক্ষার ফলাফল। ফলপ্রকাশ হতে দেখা যায়, সর্বভারতীয় এই পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে ৩৯ তম স্থানে রয়েছেন সাগ্নিক। আর পশ্চিমবঙ্গে তিনিই সম্ভাব্য প্রথম।
আরও পড়ুনঃ কম খরচে পাইথন ও অ্যানিমেশন কোর্স
কৃতী ছাত্র সাগ্নিক নন্দী কোটার একটি বেসরকারি সংস্থার থেকে অনলাইনে কোচিং নিয়েছিলেন। একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক পড়াশোনা করতেন তিনি। প্রতিদিনের পড়াশোনার জন্য কোনো বাঁধাধরা সময় ছিল না তাঁর। তবে, দিনে দশ থেকে বারো ঘন্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। এর পাশাপাশি, খুঁটিয়ে পড়েছেন বইয়ের প্রত্যেকটি অধ্যায়। সাগ্নিকের কথায়, জয়েন্টে সফল হতে গেলে পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়া ও একটি নির্দিষ্ট প্ল্যান করে পড়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সাগ্নিকের দাদা এমএসসির পর পিএইচডি করছেন। দাদাকে অনুপ্রেরণা বানিয়ে এগিয়ে চলেছেন সাগ্নিক। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজের অবিচল লক্ষ্যে স্থির ছিলেন সাগ্নিক। কঠিন অধ্যাবসায় ও পরিশ্রম করে আনলেন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
পড়ার বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ভালোবাসতেন সাগ্নিক। ‘ফেলুদা’ তাঁর প্রিয় চরিত্র। সাগ্নিকের সাফল্যে অত্যন্ত খুশি তাঁর পরিবার, পরিজন, স্কুল ও সহপাঠীরা। সাগ্নিকের জন্য গর্ববোধ করছেন তাঁরা। উচ্চশিক্ষার জন্য খড়গপুর অথবা বম্বে আইআইটিতে ভর্তি হতে পারেন কৃতী। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ভবিষ্যতে এগোতে চান সাগ্নিক।
আরও পড়ুনঃ সন্তান সামলেও সফল আইপিএস অফিসার এন অম্বিকা