মেঘ ও পাহাড়ের লুকোচুরি খেলায় তাঁর বড়ো হয়ে ওঠা। আর এবার স্বপ্ন উড়ানে ভর করে সেই মেঘের দেশেই পাড়ি জমাতে চলেছেন দার্জিলিংয়ের মেয়ে সাক্ষী প্রধান। সব ঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে তাঁর স্বপ্ন সফর। মার্চেই তিনি পেয়েছেন বানিজ্যিক বিমান ওড়ানোর লাইসেন্স। আগামী মে মাস থেকে পেশাগত জীবনে যোগ দেবেন তিনি। ইতিমধ্যে বছর চব্বিশের সাক্ষীকে নিয়ে আনন্দিত পাহাড়বাসী।
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার প্রথম মহিলা পাইলট সাক্ষী প্রধান। শিলিগুড়ির ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে আইসিএসই উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর জীবনের লক্ষ্য নির্বাচন করে সেই পথে চলা শুরু সাক্ষীর। একটি বানিজ্যিক বিমান সংস্থার ক্যাডেড পাইলট ট্রেনিং সংস্থায় যোগ দেন তিনি। এরপর পৌছে যান আমেরিকার অ্যারিজোনায় বানিজ্যিক বিমান ওড়ানোর ট্রেনিং নিতে। ২০২০ সালে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর যোগ দেন উত্তরাখন্ডের পন্থনগরে বানিজ্যিক বিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণে। আবুধাবিতে গিয়েও এ-৩২০ বিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণ নেন তিনি। গত ১৫ই মার্চ ওই বিমান সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্নাতক’ ঘোষণা করে সাক্ষীকে। একইসাথে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় বানিজ্যিক বিমান ওড়ানোর লাইসেন্স।
আরও পড়ুনঃ কোচিংয়ে না পড়েই UPSC সফল ‘তেজস্বী’ মেয়ে
সাক্ষীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবারও। সাক্ষীর বাবা রুকেশমণি প্রধানের দাবি, “ছোটবেলা থেকেই মেয়েটা পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। মেয়ের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিতে সবসময়ই পাশে থেকেছি আমরা।” দার্জিলিংয়ে পৌছলেই সংবর্ধনা জানানো হবে সাক্ষী প্রধানকে। জিটিএ চিফ অনীত থাপা জানান, “দার্জিলিং যে দেশের কোনোও অংশের চেয়ে পিছিয়ে নেই সাক্ষী ফের একবার তা প্রমাণ করলো। একইসাথে তাঁর বক্তব্য, ‘পাহাড়ের যুব সমাজের কাছে আদর্শ হতে পারেন সাক্ষী প্রধান।’