বৃহস্পতিবার ছিল নিয়োগে জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি। এদিন শুনানি চলাকালীন সময়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন দুই সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে গত ছয় বছরে রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে কত জন শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী নিযুক্ত হয়েছেন। বিগত ছয় বছরের ২৩ হাজার প্রার্থী নিয়োগের সম্পূর্ণ হিসেব রাজ্যকে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে চারিদিক থেকে বিদ্ধ রাজ্য। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলে ভুয়ো নথিপত্রে চাকরি লাভের অভিযোগ ওঠে এক প্রার্থী ও সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। অথচ খোঁজ নিতে দেখা যায় জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে ওই প্রার্থীর নিয়োগের কোনোও নথিই নেই! এরপরই স্তম্ভিত বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন নিয়োগপত্র অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে বিগত তিন বছর ধরে বেতন পেলেন ওই প্রার্থী! সাথে তিনি সংযোজন করেন, এরকম ঘটনার আরও নিদর্শন থাকতে পারে রাজ্যে। এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন গত ছয় বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের হিসেব প্রকাশ করতে হবে রাজ্যকে।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মী নিয়োগ
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পাশে ১১ হাজার শূন্যপদে MTS নিয়োগ
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর থেকে একটি নিয়োগের পরীক্ষা হলেও দফায় দফায় নিয়োগ করা হয়েছিল মোট ২৩ হাজার প্রার্থীকে। এঁদের মধ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক, গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এবার এই সকল প্রার্থীদের নিয়োগ যথাযথভাবে হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা।