জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুসারে স্নাতক স্তরের পড়াশোনায় চার বছরের পাঠ্যক্রম আনার প্রসঙ্গ আগেই সামনে এসেছিল। এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। জানা যাচ্ছিল, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হতে চলেছে এই পঠনপাঠন ব্যবস্থা। তবে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, রাজ্যে চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য গঠন করা হবে বিশেষজ্ঞদের কমিটি।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়ম কিভাবে কার্যকর করা যেতে পারে সে বিষয়ে মতামত দেবে কমিটি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করেছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চাকরির খবরঃ পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনে কর্মী নিয়োগ
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এখনই চার বছরের পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে না রাজ্যে। আগে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত শোনা হবে। রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকরের ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধাগুলি খতিয়ে দেখবে কমিটি। এছাড়া চার বছরের পাঠ্যক্রম চালুর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামোর দিকেও নজর দেওয়া হবে। সেইমতো সবদিক বিবেচনা করে তবেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।