চাকরির খবর

Primary TET: 2014 নম্বর তালিকায় ‘কুন্ডু’ বিতর্ক! তোলপাড় social মিডিয়া

Advertisement

প্রাইমারি টেট নম্বর তালিকা নিয়ে সামনে এসেছে একের পর এক বিতর্ক। এবার ফের সামনে এল নতুন একটি বিষয়। সম্প্রতি পর্ষদের তরফে প্রকাশিত টেট পরীক্ষার নম্বর তালিকায় দেখা যাচ্ছে ‘কুন্ডু’ পদবি বিশিষ্ট চারজন প্রার্থীর পরপর নাম। এমনকি তাদের রোল নম্বর ও পরপর! তবে কি একই পরিবারের চার সদস্যের নামই টেটের নম্বর তালিকায়? বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।

হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রাইমারি টেটের নম্বর তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক অবাক করা বিষয় সামনে আসে। কখনও প্রকাশ পাওয়া তালিকায় ‘নাম হীন’ প্রার্থীদের নম্বর তো কখনও একজনের ও নাম ছাড়া সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ। আবার কখনও এই নম্বর তালিকাতেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম! পার্থ, অর্পিতা থেকে অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষ, নামজাদা হেভিওয়েট রাজনীতিকদের নামও বাদ যায়নি তালিকা থেকে। বিষয়গুলি নিয়ে তদন্তের পাশাপাশি জলঘোলাও হয়েছে বিস্তর। পরীক্ষার্থীরা দাবি করেছেন এই নম্বর তালিকা সঠিক উপায়ে প্রস্তুত হয়নি। বজায় রাখা হয়নি স্বচ্ছতা। উপযুক্ত তদন্তেরও দাবি করেছিলেন তাঁরা। বহু পরীক্ষার্থীর মত, নম্বর তালিকায় প্রকাশিত নম্বরে সন্তুষ্ট নন তাঁরা। এহেন অসন্তোষের বাতাবরণের মাঝেই নম্বর তালিকার নিত্যনতুন ‘অবাক করা কান্ড’ সামনে আসছে রাজ্যবাসীর। এসব নিয়ে বিতর্কের পরিস্থিতি ছড়িয়েছে বিভিন্ন প্রান্তে।

চাকরির খবরঃ রাজ্যের স্কুলে এইট পাশে পিয়ন নিয়োগ

একবার ফের এই নম্বর তালিকা সৃষ্টি করলো বিতর্কের আবহাওয়া। এমনিতেই ২০১৪ র টেট নিয়ে বিভ্রান্তির শেষ নেই একইসাথে তার নম্বর তালিকা নিয়েও জটিলতা অব্যাহত। এবার এই তালিকার একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনগণের। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তালিকায় পরপর রয়েছে ‘কুন্ডু’ পদবি সম্বলিত চারজন প্রার্থী (তাপস কুন্ডু, সুব্রত কুন্ডু, বাসুদেব কুন্ডু, সুশান্ত কুন্ডু) -র নাম। এমনকি দেখা যাচ্ছে তাঁদের চারজনের রোল নম্বর ও রয়েছে পরপর।

বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয়ে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া। মানুষজন দাবি করছেন, একই পরিবারের চারজন জায়গা পেয়েছে টেটের নম্বর তালিকায়। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে মতামতের বন্যা বয়ে চলেছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। কারোর বক্তব্য, “একসাথে ফর্ম সাবমিট করেছিল, একসাথে টুকে পাশ করেছে”। কেউ বলছেন, “চোখের সামনে দুর্নীতি দেখেও প্রতিবাদ করতে পারবেন না, তারা আবার স্বচ্ছতার প্রমাণ দেবে”। আবার কিছুজন ২০১৪ র টেট পরীক্ষাকে সম্পূর্ণ স্ক্যাম বলে উল্লেখ করেছেন। কেউ বলেছেন, পরিবার পরিজন বন্ধু সকলে এভাবে টেট পাশে চাকরি পেলে ভবিষ্যত প্রজন্মের চাকরির আশা আর নেই। কেউ রাজনৈতিক ভাবধারার প্রসঙ্গ যেমন তুলেছেন তেমনই কিছু মানুষ ২০১৪ র নম্বর তালিকাকে সম্পূর্ণই বাতিল করার দাবি জানাচ্ছেন। সর্বোপরি রাজ্যবাসীর বক্তব্য, নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি ক্রমশ ছড়িয়েছে তা আদতেই থামার নয়।

টেটের নম্বর তালিকা নিয়ে একের পর এক দৃষ্টান্ত যেভাবে সামনে এসেছে তাতে প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে মানুষের বিশ্বাস বাস্তবিকই কমেছে। এরই মধ্যে ‘কুন্ডু বিতর্কের’ রেশ ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় হয়ে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া।

Related Articles