সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সুপারিশপত্র বাতিল হয়েছে ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর। ফলে সংশ্লিষ্ট শূন্যপদে এবার নতুন প্রার্থী নিয়োগের পথে কমিশন। জানা যাচ্ছে, এই নিয়োগ কর্মসূচিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে এসএসসির তরফে।
এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের ১৯১১ টি শূন্যপদে নিয়োগ শুরু হবে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই। নিয়োগ দিতে যে সকল প্রার্থীদের কাউন্সেলিং করা হবে তাঁদেরও বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তবে অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রার্থী নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার সতর্ক এসএসসি। কারণ, অপেক্ষমান তালিকায় থাকা প্রার্থীদের উত্তরপত্রেও গরমিল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি মামলাকারী দুজন চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্রে ইতিমধ্যে গরমিল পাওয়া গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সকলের উত্তরপত্র কম্পিউটার স্ক্যানিং করা হবে। সেখানে নম্বরের ফারাক বেশি থাকা প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবেই বাতিল করবে কমিশন। তারপর এক কিংবা দুই নম্বরের ভুল বিবেচিত হলে সেই প্রার্থীদের উত্তরপত্র কম্পিউটার স্ক্যানিংয়ের পরেও ম্যানুয়ালি (হাতে কলমে) চেক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় প্রথম হলেন কে?
এসএসসি সভাপতির কথায়, এই সকল প্রক্রিয়া অতি শীঘ্রই শুরু করতে চলেছে কমিশন। আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে এ বিষয়ে তথ্য পেশ করতে হবে। সভাপতির বক্তব্য, বিচারপতির দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে তৎপরতা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এদিন ওএমআর শিটে কারচুপি অভিযোগে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৯১১ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। বিচারপতির নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা ফের কোনোও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।