এসএসসির গ্রুপ ডি পদের নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ! ঘটনার তদন্তে থাকা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) এর তরফে রিপোর্টে জানানো হলো, মেধাতালিকার প্রথম দশে থাকা প্রার্থীদের উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বর শূন্য! এই নম্বরে যেখানে নিয়োগ পাওয়ারই কথা নয় সেখানে মেধাতালিকায় জায়গা পেয়েছিলেন তাঁরা!
রাজ্যে অন্যান্য পদের নিয়োগের মতো গ্রুপ ডি পদের প্রার্থী নিয়োগে জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। ইতিমধ্যেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর। এরইমধ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে সিবিআই এর তরফে পেশ করা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সিবিআই জানিয়েছে, গাজিয়াবাদে ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিস্কের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মেধাতালিকার প্রথম দশে থাকা প্রার্থীদের খাতায় নাম, ভেন্যু কোড, বুকলেট সিরিয়াল ছাড়া বাকি সমস্তটাই ফাঁকা। এই খাতার প্রাপ্ত নম্বর কার্যত ‘শূন্য’। অথচ এই ‘শূন্য’ নম্বরই কারচুপির মাধ্যমে সার্ভারে পরিণত হয়েছে ‘৪৩’ নম্বরে!
চাকরির খবরঃ ২০২৩ দ্বিতীয়ার্ধে আবার প্রাইমারি টেটের সম্ভাবনা
এভাবেই বেআইনি পথে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রার্থীদের। এদিকে বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছে অযোগ্য প্রার্থীদের। আর এই তালিকায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট মেধাতালিকার দশ জন প্রার্থীও। প্রসঙ্গত, তৈরি হওয়া শূন্যপদে এবার ওয়েটিং লিস্ট থেকে প্রার্থী নিয়োগ করবে কমিশন। তবে এবারের নিয়োগ কর্মসূচিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।