নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে গরমিল এই প্রথম নয়। এর আগেই অভিযোগ ওঠে ওএমআর শিটের নম্বর বিকৃত করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রার্থীদের। এবার ফের গ্রুপ- ডি এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওএমআর শিটে মিললো দুর্নীতির আঁচ। এর আগে এসএসসি গ্রুপ ডি এর মামলায় ১০০ টি ওএমআর শিট খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে সামনে এলো সেই সকল ওএমআর শিটের তথ্য।
ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) -এ জালিয়াতি প্রসঙ্গে এক আগেই গুরুতর অভিযোগ সামনে আসে। সাদা খাতায় চাকরি পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এর আগে এসএসসির তরফে প্রকাশিত নবম-দশমের ওএমআর শিটে শূন্য, দুই, তিন পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার অভিযোগে সরব হয় বিভিন্ন মহল। এবার গ্রুপ ডি র মামলাতেও ১০০টি ওএমআর শিট খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারের শুনানিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন বৃহস্পতিবারের মধ্যে এইসব উত্তরপত্র কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে।
আরও পড়ুনঃ দ্রুত নিয়োগের দাবিতে পিএসসি দপ্তরে অভিযান চাকরিপ্রার্থীদের
এদিন শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবীর হাতে ১০০ টি ওএমআর শিটের তথ্য তুলে দেওয়া হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপত্রগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ‘চার’। বাকিরা পেয়েছেন শূন্য, দুই তিন, করে নম্বর। এদিকে এসএসসির তালিকায় তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর দেখানো হয়েছে ৪৩ কি তারও বেশি। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে ওএমআর শিটের নম্বর বিকৃত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ১০০ টি ওএমআর শিটের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ জনের নাম রয়েছে নিয়োগ তালিকায় আর বাকি ৫০ জন রয়েছেন ওয়েটিং লিস্টে।সূত্রের খবর, মোট ২৮২৩ জনের ওএমআর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদালতের নির্দেশ, শীঘ্রই এই ওএমআর শিটগুলির তথ্য মামলাকারীদের হাতে তুলে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রকাশ পাওয়া ওএমআর শিটগুলিতে দেখা যাচ্ছে, সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন বেশ কিছু প্রার্থী। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, এই সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার মাঝে রয়েছে বড়ো অঙ্কের টাকার লেনদেন। যা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট ঘটনাটিতে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তের স্বার্থে ইডি কে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।