ফের কম নম্বরে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠলো কুড়ি জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই প্রার্থীদের নাম ও ঠিকানা সহ তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকা প্রকাশ করে এই প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয় কর্মশিক্ষা পদে কিভাবে চাকরি পেয়েছেন তা তথ্য দিয়ে জানাতে হবে তাঁদের। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আগামী ২১শে ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা।
এর আগেও কম নম্বরে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এসএসসির বিরুদ্ধে। এহেন অভিযোগে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। গত বছর আগস্ট মাসে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। মামলাকারীর দাবি, আদালতের তরফে তাঁর অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনোও সমাধানসূত্র বের হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ২০১৭ সালে যে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা পদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, সেখানে বেশি নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও ইন্টারভিউতে ডাক পাননি তিনি। বদলে ডাক পেয়েছিলেন তুলনায় কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা। এরকম প্রায় ২৮ জন প্রার্থীর তালিকা আদালতে জমা দেন তিনি। জানা যাচ্ছে, এঁদের মধ্যে অন্তত কুড়িজন প্রার্থী বিভিন্ন স্কুলে চাকুরিরত।
আরও পড়ুনঃ আগে ভালো করে পড়াও ছাত্রদের তারপর বদলি
মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ পর্যালোচনা করে হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, উল্লেখিত এই কুড়িজন প্রার্থীর তথ্য শীঘ্রই জোগাড় করতে হবে এসএসসিকে। কর্মশিক্ষা পদে তাঁদের কিভাবে চাকরি হলো তাও জানতে হবে। এবং এই সকল তথ্য সহ হলফনামা জমা দিতে হবে আদালতে। একইসাথে আদালত মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেয়, এই প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়ে থাকলে তারও তথ্য সহ হলফনামা জমা দিতে হবে। আদালতের নির্দেশ মতো সংশ্লিষ্ট কুড়ি জন প্রার্থীর নাম, ঠিকানা সহ তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। প্রার্থীদের থেকে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ইমেল মারফত তথ্য জানাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২১শে ডিসেম্বর।