মাত্র কয়েকদিন আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছিল, এবার উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস শুরু হবে মে মাস থেকে। এবার যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবেন তাদের পঠন-পাঠন শুরু হবে সেমিস্টার পদ্ধতিতে। নতুন পদ্ধতিতে হবে পরীক্ষা। এরজন্য যেমন পরিবর্তন করা হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাস, তেমন আবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন বিষয়। এরই মাঝে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর শিক্ষামহলে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের দাবি, “নতুন সেমিস্টার পদ্ধতিতে কী ভাবে পড়ুয়াদের পড়ানো হবে, তা নিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই বেশ কিছু প্রশিক্ষণ শিবির করার কথা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কতজন শিক্ষক এই প্রশিক্ষণ নেবেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। উচ্চ মাধ্যমিকে কৃত্রিম মেধা, ডেটা সায়েন্সের মতো নতুন বিষয় যোগ হয়েছে। এই দু’টি বিষয় পড়াতে বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষকই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ বার তাঁরা যদি বাতিলের তালিকায় থাকেন, তা হলে এগুলোই বা কে পড়াবেন?”
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন
উচ্চ মাধ্যমিকের আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পঠন-পাঠন এবং পরীক্ষা চালু হওয়ার বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত হয়েগেছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষামহলের একাংশের দাবি, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষক। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রায় স্কুলগুলিতে নির্দিষ্ট একটি বিষয় পড়ানোর জন্য মাত্র একজনই শিক্ষক অথবা শিক্ষিকা থাকেন। সেই বিষয়টি অন্য বিষয়ের শিক্ষক অথবা শিক্ষিকার ক্ষেত্রে পড়ানো সম্ভব নয়। এরফলে একাধিক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনে অসুবিধা দেখা দেবে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি চলছে। স্কুল খুললেই উচ্চ মাধ্যমিকের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এত কম সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানে কি ব্যবস্থা নেয় রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর সেটাই এখন দেখার।