স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। গোটা রাজ্যের অধিকাংশ ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে নামটা অজানা নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ ছিল। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাওয়ার জন্য গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশেরই আবেদন বাতিল করলো সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
চাকরির খবরঃ স্বাস্থ্য দপ্তরে মাল্টি টাস্কিং স্টাফ নিয়োগ
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পাওয়ার আবেদন বাতিলের কারণ হিসেবে ব্যাঙ্কগুলির দাবি সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর পড়াশোনার মান সন্তোষজনক নয়। পাশাপাশি অনেকেরই আবেদনে ভুল ত্রুটি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ব্যাংকের মনে হয়েছে যে মেধাবী পড়ুয়া না হলে তারা চাকরি নাও পেতে পারেন। আর চাকরি না পেলে ঋণের টাকা কিভাবে শোধ করবেন? স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার নির্ধারিত কোন মান না থাকলেও ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে পড়াশোনার যোগ্যতা ঠিক করে রেখেছিল ব্যাঙ্কগুলি। ব্যাংক নির্ধারিত পড়াশোনার মান পুরণ হলেই ঋণ মঞ্জুর হবে। অন্যথায় নয়।
চাকরির খবরঃ রেল বিভাগের কলকাতা শাখায় গ্রুপ-সি পদে চাকরি
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু ঋণ মঞ্জুর হয়েছে মাত্র ২৩০ জনের। তবে প্রায় ১৮ হাজার আবেদনকারীর ঋণ মঞ্জুরের সম্ভাবনাও রয়েছে। ব্যাংক সূত্রে খবর, জমা পড়া আবেদন গুলির মধ্যে যেগুলি যাচাই হয়েছে তাদের মধ্যে বাতিলের সংখ্যাই বেশি। ঋণ মঞ্জুর না হওয়ার কারণ ব্যাঙ্কগুলি জানাচ্ছে, অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র, সম্পূর্ণ তথ্যের অভাব, আবার অনেকেরই সিবিল স্কোর অনেকটা কম ইত্যাদি।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে ১৩ হাজার আশা কর্মী নিয়োগ
প্রসঙ্গত, নদীয়া এবং হুগলি জেলায় বেশি সংখ্যক আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এই দুটি জেলায় ঋণ মঞ্জুর সংখ্যা খুবই কম। পাশাপাশি কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় আবেদন বাতিলের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।