স্কুলের পড়াশোনা শেষে পড়ুয়ারা যখন উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন অথবা পেশাগত জীবনে পা রাখবেন তখন তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ প্রয়োজন। সম্প্রতি এ ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করেছে রাজ্য। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য স্কুল স্তর থেকেই তাঁদের গবেষণামুখী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে এবার স্কুলেই ‘সামার প্রজেক্ট’ চালু করতে চাইছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
এই সামার প্রজেক্টে কি কি করণীয় সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে তার ভিত্তিতে পড়ুয়াদের অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা এই সামার প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করবেন। সংশ্লিষ্ট সামার প্রজেক্টে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য রাখা হয়েছে পরিবেশ ও প্রকৃতি পরিচিতি বা প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়া। পড়ুয়ারা পাঁচ-সাত দিন প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবেন শিক্ষকদের কাছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ের তিন কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত বিজ্ঞানকেন্দ্র বা ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন ও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবেন। নবম ও দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল, কলেজ, লাইব্রেরিতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন ও অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত করবেন। এছাড়া একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্যও থাকছে অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুতির নিয়মাবলী।
আরও পড়ুনঃ IRCON -এ প্রচুর শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ
সূূত্রের খবর, এই প্রজেক্টে নজর রাখার দায়িত্ব থাকবে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের ওপরও। মনে করা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট সামার প্রজেক্টগুলির মাধ্যমে পড়ুয়াদের ভাবনাচিন্তার বিকাশ যেমন ঘটবে তেমনই ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা এখন থেকেই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন। এছাড়া নেতৃত্ব দানের ক্ষমতাও বাড়বে তাঁদের। এই সকল বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেই সামার প্রজেক্টগুলি প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত স্কুল শিক্ষা দফতরের।