আদালতে থমকে রয়েছে রাজ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ প্রাথমিকের ১২ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। শীর্ষ আদালত জানায়, এখনই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না পর্ষদ। এই মামলা কোনদিকে গড়ায়, নিয়োগ শুরুর সিদ্ধান্ত আদৌ আসে নাকি তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার ছিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সূত্রের খবর, আর আবারও পিছিয়ে গেল বারো হাজার শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি।
কিছুদিন আগে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে তৎপরতা শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ডি.এল.এড কোর্স উত্তীর্ণরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সে সময় সংশ্লিষ্ট কোর্সের অন্তিম বর্ষের পড়ুয়ারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দরবার করেন, ডি.এল.এড অন্তিম বর্ষের পরীক্ষায় বিলম্বের কারণে তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না। তাঁদের আর্জি শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ডি.এল.এড কোর্সের প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের নিয়োগে সামিল হতে পারবেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে খারিজ করে দেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। ডি.এল.এড প্রশিক্ষণরত চাকরিপ্রার্থীরা ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের।
আরও পড়ুনঃ চলতি বছরের প্রাইমারি টেট পরীক্ষা কারা দিতে পারবে
ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য ছিল, যেহেতু নিয়োগের ঘোষণার দিন পর্যন্ত ওই প্রার্থীরা প্রশিক্ষণহীন তাই তাঁরা নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না। তবে শীর্ষ আদালতে প্রাথমিকের নিয়োগ মামলার গতিপ্রকৃতি থমকে রয়েছে। জুলাই শেষে এই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় আদালত। যার ফলে অস্বস্তি বাড়ে চাকরিপ্রার্থীদের। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে জানা যাচ্ছে, পিছিয়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি।