হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হবে। তবে তাঁরা প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে বহাল রাখে। আর এবার হাইকোর্টের দুই বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষকেরা।
ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের ফলে ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল না হলেও তাঁদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বলা হয়। পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অগাস্টের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে হবে। সেপ্টেম্বরে এই মামলা ফের শোনা হবে। কিন্তু এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই শিক্ষকেরা। এ প্রসঙ্গে তাঁদের দাবি, নতুন করে আর তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুনঃ ২০১৬ সালের প্রাইমারি রিক্রুটমেন্টের তালিকা প্রকাশ্যে আনলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল এই সকল প্রার্থীরা আগামী চার মাস পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে স্কুলে কাজ করতে পারবেন। যথারীতি পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন কাঠামো অনুসারে তাঁদের বেতন দেওয়া হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলা শুনে ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়। আর এবার ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের মামলা গড়াল শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।