রাজ্যে প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক, নবম-দশম সহ বিভিন্ন পদের নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। আদালতে বিচারাধীন একাধিক মামলা। এর আগে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টিনা মন্ডল ও ১৮৬ জন প্রার্থী মামলা দায়ের করেন আদালতে। মামলার শুনানিতে গত ২ মার্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দুই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডিকে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দেন। আর এবার হাইকোর্টের এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২০ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল তার যৌথ তদন্ত করবে সিবিআই ও ইডি। মামলায় অভিযোগ ওঠে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে এবার হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে, কেন সিবিআই ও ইডিকে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলো? সাথে সংশ্লিষ্ট নির্দেশের কি প্রয়োজনীয়তা ছিল তাও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
চাকরির খবরঃ পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনে কর্মী নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আর যৌথ তদন্ত করতে পারবে না সিবিআই ও ইডি। তদন্তের শুরুতেই দুই সংস্থার একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা কি ছিল তা এবার হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। জানা যাচ্ছে, মামলার আগামী শুনানিতে জমা দিতে হবে এই হলফনামা।