মনে যদি থাকে ইচ্ছে আর জেদ তবে যে কোনো অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলা যায়। তেমনই ছোটবেলা থেকে অভাবের সংসারে বড় হওয়া নন্দিনী তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল হাতেনাতে পেলেন। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে তামিলনাড়ু বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণীর ফল। সেখানেই প্রতিটি বিষয়ে একশোয় একশো নম্বর এনে দ্বাদশের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরের রেকর্ড তৈরি করেছেন পড়ুয়া এস নন্দিনী। গোটা তামিলনাড়ু রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুল জেলার বাসিন্দা তিনি। সেই জেলারই সরকারি স্কুল আন্নামালায়ার মিলস গার্লস হায়ার স্কুলে পড়েন। তাঁর বাবা সাবরামকুমার পেশায় কাঠমিস্ত্রি। সংসারে অভাব থাকলেও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় কোনো ঘাটতি আসতে দেননি বাবা। মেয়ে নন্দিনী ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। পরীক্ষার জন্য মনপ্রাণ দিয়ে চলত একটানা পঠনপাঠন। পড়াশোনার জন্য বাদ দিয়েছিলেন সমস্ত রকম বিনোদন। পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর তাঁর মনে হয়েছে, অবশেষে স্বার্থক সকল পরিশ্রম। তবে কেবল নিজের পরিশ্রমকে নয়, নন্দিনী বলেন, “আজ যা হয়েছি পুরোটাই বাবার জন্য।”
আরও পড়ুনঃ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে CAT পরীক্ষায় সফল হলেন তরুণ
দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় নন্দিনীর বিষয় ছিল তামিল, ইংরেজি, অর্থনীতি, কমার্স, অ্যাকাউন্টেন্সি ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন। এই ছয়টি বিষয়েই নন্দিনী পেয়েছেন একশো করে মোট ছয়শো নম্বর। এহেন চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট করে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিনি। মেয়ের সাফল্যে কি বলছেন বাবা? নন্দিনীর বাবা সাবরামকুমারের বক্তব্য, “নন্দিনী নিজের অধ্যাবসায়ে কখনও গাফিলতি রাখেনি।” ইংরেজি ও তামিল ভাষায় সাহিত্য চর্চার আগ্রহ রয়েছে নন্দিনীর। লেখেন গল্প ও কবিতাও। আগামী দিনে বি.কম ও সিএ পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। আর সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলতে চান তামিলনাড়ুর ‘নন্দিনী’।